চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

করোনাকালে কর্মী ছাঁটাই প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্বে সমবেদনার অভাব: রতন টাটা

করোনা মহামারির মধ্যে কর্মী ছাঁটাই করা প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্বে সমবেদনার অভাব সুস্পষ্ট করেছে বলে ভারতীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতি অভিযোগ করেছেন বর্ষীয়ান শিল্পপতি রতন টাটা। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি এই অভিমত প্রকাশ করেছেন।

সংবাদ ওয়েবসাইট ‘ইওর স্টোরি’তে দেওয়া এক সাক্ষাতকারের বরাতে হিন্দুস্থান টাইমস এ তথ্য জানিয়েছে।

সাক্ষাতকারে রতন টাটা বলেন, ‘এই মানুষগুলি তোমার জন্য কাজ করেছেন। নিজেদের গোটা কর্মজীবন তোমার জন্য তাঁরা ব্যয় করেছেন। আর আজ তাঁদেরই তুমি বৃষ্টির মধ্যে ঘরের বাইরে বের করে দিলে। নিজের কর্মীদের প্রতি এই আচরণই কি তোমার নৈতিক সংজ্ঞা?’

রতন টাটার টাটা গ্রুপ ব্যতিক্রম হলেও ভারতে বহু সংস্থা কোভিড মহামারীর কারণে আয় কমে যাওয়ার যুক্তি দেখিয়ে হাজার হাজার কর্মীকে ছাঁটাই করেছে। তুলনায় উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের ২০% বেতন ছাঁটলেও বিরাট লোকসান হজম করেও কর্মী সংখ্যা কমানোর পথে হাঁটেনি টাটা গ্রুপ-এর অধীনস্থ কোনও সংস্থা।

সাক্ষাৎকারে রতন টাটা বলেছেন, ‘যেখানেই থাকো, করোনা তোমাকে আঘাত হানবেই। সেই সঙ্গে গ্রাহক ও অংশীদারদের ক্ষেত্রে সব সময় সঠিক ও নৈতিক পদক্ষেপ করতে হবে। যে কারণেই হোক, টিকে থাকার জন্য নিজের ভালো-মন্দ বিচারের মাণদণ্ড সময় সময় বদলাতে হবে। কিন্তু নিজের লোকেদের প্রতি অসংবেদনশীল হলে কোনও সংস্থার টিকে থাকা মুশকিল।’

তিনি আরও বলেছেন, ‘সকলেই লাভের পিছনে দৌড়োয়, কিন্তু প্রশ্ন হল কতটা নীতিগত ভাবে নিখুঁত হয়েছে তোমার গোটা সফর। ব্যবসা শুধুমাত্র অর্থ রোজগারের জন্য নয়। সব দিক বিচার করে ঠান্ডা মাথায় সিদ্ধান্ত নেওয়াই সেখানে গুরুত্বপূর্ণ।’

টাটার মতে, ব্যবসায় ভুল হতেই পারে। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, সংকটে পড়লে পালিয়ে না গিয়ে সঠিক সময় সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ।

প্রবীণ শিল্পপতি বলেছেন, অতিমারীর জেরে ভারতব্যাপী লকডাউন ঘোষণা হওয়ায় বাড়ির বাইরে বেরোতে না পারাই তাঁর সবচেয়ে বিরক্তিকর লেগেছে। তবে তাঁর দাবি, ‘এখানে প্রমোদতরী, প্রাসাদ বা বিশাল সম্পত্তি বিবেচ্য নয়। তার চেয়ে অনেক দামি নিজের সমভাবাপন্ন মানুষদের সান্নিধ্য থেকে বঞ্চিত থাকা। এই বিষয়টিই আমাকে সবচেয়ে কষ্ট দিয়েছে।’