বীর মুক্তিযোদ্ধা, বেড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহী ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
করোনায় আক্রান্ত হয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর। তিনি স্ত্রী, ২ ছেলে, ২ মেয়ে ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
আব্দুল কাদেরের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন, তার ভাতিজা শফিউর রহমান শফি।
তিনি জানান, গত ৩ সেপ্টেম্বর করোনার উপসর্গ নিয়ে স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন আব্দুল কাদের। এক সপ্তাহ ধরে চিকিৎসার চলার পর আজ মৃত্যু হয় তার।
আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতা হিসেবে সুপরিচিত এই মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
আব্দুল কাদের ১৯৭৪ সালে পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এবং ১৯৭৮ সালে পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন।
১৯৬৯ সালে শহীদ বুলবুল কলেজে ছাত্র সংসদের এবং ১৯৭৪ সালে সরকারি এডওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হন।
১৯৭২ সালে নগরবাড়ি ঘাটে শ্রমিক ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠা করে প্রতিষ্ঠাতা-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭২ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান নগরবাড়ি মুজিব বাঁধ উদ্বোধনকালে ঐতিহাসিক বিশাল জনসভার পরিচালনার দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৭২ সালে কাশিনাথপুর শহীদ নূরুল হোসেন ডিগ্রি কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৭২ সালে জাতসাখিনী ইউনিয়নের চকভরিয়া গ্রামে তার পিতার নামে একটি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন।
এছাড়া জেলা আওয়ামী লীগের প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে তিনি অগ্রভাগে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
আজীবন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের আদর্শের সৈনিক হিসেবে সক্রিয় রাজনীতি করেছেন তিনি।