কোভিড-১৯ সংক্রমণের ৫১১তম দিনে দেশে ২৩১ জনের মৃত্যুতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ হাজার ৯১৬ জন। এই সময়ে শনাক্ত হয়েছেন ১৪ হাজার ৮৪৪ জন রোগী।
এর আগে ২৭ জুলাই দেশে সর্বোচ্চ ২৫৮ জন রোগী মারা যায়, আর ২৮ জুলাই সর্বোচ্চ শনাক্ত হয় ১৬ হাজার ২৩০ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ডা. নাসিমা সুলতানার সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় (অ্যান্টিজেন টেস্টসহ) ৪৯ হাজার ৫২৯টি নমুনা পরীক্ষায় ১৪ হাজার ৮৪৪ জন এই ভাইরাসে শনাক্ত হয়েছেন। এই সময়ে পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ২৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ।
তবে শুরু থেকে মোট পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ২৩ শতাংশ।
সরকারী ব্যবস্থাপনায় এখন পর্যন্ত ৫৭ লাখ ৩২ হাজার ১৯৪ নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, বেসরকারী ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ২০ লাখ ৫৮ হাজার ২২৯টি নমুনা। অর্থাৎ, মোট পরীক্ষা করা হয়েছে ৭৭ লাখ ৯০ হাজার ৪২৩টি নমুনা। এর মধ্যে শনাক্ত হয়েছেন ১২ লাখ ৬৪ হাজার ৩২৮ জন। তাদের মধ্যে ২৪ ঘণ্টায় ১৫ হাজার ৫৪ জনসহ মোট ১০ লাখ ৯৩ হাজার ২৬৬ জন সুস্থ হয়েছেন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৬ দশমিক ৪৭ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় যে ২৩১ জন মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের মধ্যে ১৩৯ জন পুরুষ ও ৯২ জন নারী। তাদের মধ্যে ২১৭ জনের হাসপাতালে (সরকারিতে ১৬৮ জন, বেসরকারিতে ৪৯ জন) ও বাড়িতে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও হাসপাতালে মৃত অবস্থায় একজনকে আনা হয়েছে। তারাসহ মৃতের মোট সংখ্যা ২০ হাজার ৯১৬ জন। মোট শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুহার এক দশমিক ৬৫ শতাংশ।
এখন পর্যন্ত সরকারি হাসপাতালে মারা গিয়েছেন ১৮ হাজার ৭৪ জন, যার শতকরা হার ৮৭ দশমিক ৩৮ শতাংশ। বেসরকারি হাসপাতালে মারা গিয়েছেন দুই হাজার ২৮ জন, যার শতকরা হার নয় দশমিক ৮০ শতাংশ। বাসায় ৫৫৯ জন মারা গিয়েছেন, যার শতকরা হার দুই দশমিক ৮০। এছাড়াও মৃত অবস্থায় হাসপাতালে এসেছেন ২৪ জন, যার শতকরা হার দশমিক ১২ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত ১৪ হাজার ১৪২ জন পুরুষ মারা গেছেন যা মোট মৃত্যুর ৬৭ দশমিক ৬১ শতাংশ এবং ছয় হাজার ৭৭৪ জন নারী মৃত্যুবরণ করেছেন যা মোট মৃত্যুর ৩২ দশমিক ৩৯ শতাংশ।
বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ২১৮ জনের মধ্যে এগারো থেকে বিশ বয়সী দু’জন, একুশ থেকে ত্রিশ বয়সী তিনজন, ত্রিশোর্ধ্ব ১৯ জন, চল্লিশোর্ধ্ব ৩৪ জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ৪৬ জন এবং ষাটোর্ধ্ব ৭২ জন, সত্তরোর্ধ্ব ৪৫ জন, আশি উর্ধ্ব নয়জন, নব্বই ঊর্ধ্ব একজন।
আর বিভাগওয়ারী হিসাবে ঢাকা বিভাগে ৭৭ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৫৩ জন, রাজশাহী বিভাগে ১৩ জন, খুলনা বিভাগে ৪৪ জন, বরিশাল বিভাগে ছয়জন, সিলেট বিভাগে নয়জন, রংপুর বিভাগে ১৮ জন ও ময়মনসিংহ বিভাগে ১১ জন।
করোনাভাইরাসে বিশ্বের ২১৫টি দেশ ও অঞ্চলে এখন পর্যন্ত ১৯ কোটি ৮৭ লাখেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে মারা গেছেন ৪২ লাখ ৩৬ হাজারের বেশি মানুষ। তবে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ১৭ কোটি ৯৪ লাখের বেশি।