করের আওতা বৃদ্ধিতে ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ৫ দফা প্রস্তাবনা পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। সেখানে মােবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) এর মাধ্যমে পরিশোধের বিধান অন্তর্ভুক্ত করাসহ আরও চার প্রস্তাবনা রাখা হয়েছে।
পাঁচ দফা প্রস্তাবনা হলো:
ক) যেসকল ক্ষেত্রে অর্থ পরিশোধে ব্যাংক ট্রান্সফারের বাধ্যবাধকতা রয়েছে সেসকল ক্ষেত্রে ব্যাংক ট্রান্সফারের পাশাপাশি মােবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) এর মাধ্যমে পরিশোধের বিধান অন্তর্ভুক্ত করা;
খ) ৫০ হাজার টাকার অধিক পেমেন্ট হলে তা ক্রস চেক বা ব্যাংক ট্রান্সফার বা মােবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) এর মাধ্যমে সম্পাদন করার বাধ্যবাধকতা আরােপ করা;
গ) সরবরাহ ও ঠিকাদারীর বিল ব্যাংকিং বা মােবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) এর মাধ্যমে গ্রহণ করা না হলে প্রযোজ্য উৎসে করহারের অতিরিক্ত ৫০% কর্তন করা;
ঘ) করনেট সম্প্রসারণে বাড়ির নকশা অনুমােদনে ও সমবায় সমিতির রেজিস্ট্রেশনে এবং দুই লক্ষ টাকার উর্ধ্বে সঞ্চয়পত্র ক্রয়ে ও পােস্টাল সেভিংস অ্যাকাউন্ট খুলতে টিআইএন গ্রহণের বাধ্যবাধকতা আরােপ করা;
ঙ) ই-কর্মাস প্ল্যাটফর্মকে উৎসে কর কর্তনকারী কর্তৃপক্ষ হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা।
উত্থাপিত এ প্রস্তাবসমূহ মহান জাতীয় সংসদের মাধ্যমে পাশ হলে আনুষ্ঠনিক অর্থনীতির আকার বড় হবে, বিনিয়ােগ ও রাজস্ব সংগ্রহ বৃদ্ধি পাবে। ব্যাংক ট্রান্সফারের পাশাপাশি মােবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) এর মাধ্যমে অর্থ পরিশােধের সুযােগ প্রদানের মাধ্যমে একটি আধুনিক প্রযুক্তিকে আইনগত ভিত্তি প্রদান করা হয়েছে। এতে করে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত হবে।
এর আগে বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে আগামী ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এবারের বাজেটের পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোট টাকা। যা দেশের মোট জিডিপির ১৭ দশমিক ৪৭ শতাংশ। এই বাজেটে ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ১৪ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা। যা মোট জিডিপির ৬ দশমিক ২ শতাংশ। অর্থাৎ মোট বাজেটের এক তৃতীয়াংশের চেয়ে বেশি ঘাটতি ধরা হয়েছে।