সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে শ্রমিকরা যাতে কম খরচে যেতে পারে, তা নিয়ে আলোচনা করছে সরকার।
প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি জানিয়েছেন, সৌদি দূতাবাসের সঙ্গে আলোচনা করে শ্রমিকদের সে দেশে যাওয়ার ব্যয় নির্ধারণ করা হবে।
নির্ধারিত খরচের অতিরিক্ত আদায় করলে রিক্রুটিং এজেন্সির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক লেবানন ও জর্ডান সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়। সেই সংবাদ সম্মেলনেই সফরের বিস্তারিত তুলে ধরেন মন্ত্রী।
তিনি জানান, লেবানন এবং জর্ডান ডাক্তার, নার্স ও সেলসম্যানসহ বিভিন্ন খাতে শ্রমিক নেয়ার আগ্রহ দেখিয়েছে।
বলেন, বাংলাদেশ ও লেবানন কর্মী প্রেরণ ও নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে অনতিবিলম্বে একটি এমওইউ সাক্ষর করবে। লেবাননে বিদ্যমান বাংলাদেশী কর্মীদের জন্য সেই দেশের আইন অনুযায়ী সর্বনিম্ন মজুরির বিধান প্রযোজ্য হবে। নতুন বেতন উভয় দেশের মধ্যে সমঝোতা সাক্ষরের পর কার্যকর হবে। গৃহকর্মী ও পরিচ্ছন্নকর্মী ছাড়াও অন্যান্য ক্ষেত্রে বাংলাদেশের কর্মী নিয়োগে বিষয়টি লেবানন সরকার সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করবে বলে জানিয়েছে।
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর সৌদি আরবের শ্রমবাজারও সম্প্রতি খুলে দিয়েছে দেশটির সরকার। মন্ত্রী জানান, শ্রমিকরা যাতে কম খরচে মধ্যপ্রাচ্য যেতে পারে সে ব্যাপারে আলোচনা করছে সরকার।
বলেন, আমরা সবাই চেষ্টা করছি যেন শ্রমিকের খরচ কমানো যায় এবং যেন সহজ শর্তে লোকজন যেতে পারে। এজন্য যারা যাচ্ছে তাদের সঙ্গেও আমরা যোগাযোগ করছি যে আপনারা বেশি টাকা দিবেন না। আমরা মধ্যস্বত্বভোগীদের বন্ধ করার চেষ্টা করছি। সেটা হলে শুধু ফ্লাইট আর ডাক্তারের খরচটা দিয়েই কম খরচে লোকজন বিদেশে যেতে পারবে।
তবে মালয়েশিয়ায় শ্রমিক পাঠানোর বিষয়ে মন্ত্রণালয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই বলে জানান তিনি।