শেরপুরে মাঠ থেকে ধান কেটে ঘরে তুলতে কম্বাইন্ড হারভেস্টার নামের আধুনিক যন্ত্র ব্যবহার করছেন কৃষক। এর ফলে ধান কাটা, মাড়াই ও ঝাড়াইয়ের কাজ একসাথে হওয়ায় সময় কম লাগার পাশাপাশি সাশ্রয় হচ্ছে খরচও।
কম্বাইন্ড হারভেস্টার যন্ত্র দিয়ে ঘণ্টায় এক একর জমির ধান বা গম কেটে ফেলা যায়। এতে কৃষকের খরচ হয় একর প্রতি দেড় হাজার বা ১৬শ’ টাকা। এর বিপরীতে এক একর জমির ধান কাটতে শ্রমিক লাগে পাঁচ জন। আর খরচ হয় পাঁচ-ছয় হাজার টাকা।
শেরপুরের কৃষক জানায়, মেশিনটি অনেক সুবিধাজনক। এ মেশিটি হলে আমরা অল্প সময়ে আমরা কাজ করতে পারবো। কৃষি কাজে লাভবান হতে পারব।
২৫-৩০ লাখ টাকা মূল্যে হারভেস্টার যন্ত্র কেনার সামর্থ সিংহভাগ কৃষকেরই নেই। কম মূল্যে এ যন্ত্র পেলে তারা উপকৃত হতেন।
শেরপুরের কৃষক আরোও জানায়, অল্প সময়ে ধান কেটে খড় ময়লা একদম আলাদা হয়ে য়ায়। আর এ রকম মেশিন যদি কম দামে ছোট করে দেয় তবে আমাদের সুবিধা হবে।
কম দামে কম্বাইন্ড হারভেস্টার বাজারজাত করা হলে উৎপাদন ব্যয় কমিয়ে তুলনামুলক বেশি ফসল ঘরে তুলতে পারবেন কৃষক। এতে পাল্টে যাবে ফসল আবাদের পুরনো হিসেব।
শেরপুর জেলার নকলা উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা আশরাফ উদ্দিন বলেন, কম্বাইন্ড হারভেস্টারের মাধ্যমে প্রতি ঘণ্টায় প্রায় এক একর জমির ধান কাটা মাড়া ঝাড়াই করা সম্ভব হয়।
শেরপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. আবদুস সামাদ বলেন, এই যন্ত্রটা কৃষকের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। কৃষকের দাবি এই যন্ত্র যদি আরো ছোট আকারে এবং কম মূল্যে যদি ২৫ শতাংশ ভতুর্কি দিয়ে কৃষকের কাছে সরবরাহ করা হয় সেটা আট দশ লাখ টাকার মধ্যে তবে এটার জনপ্রিয়তা আরো বাড়বে।