আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের পার্লামেন্ট ভবনে তালেবান জঙ্গিদের হামলায় নয়জন নিহত ও ৪০ জন আহত হয়েছেন। সোমবারের এ হামলায় নিহতদের মধ্যে এক নারী, এক শিশু ও সাতজন জঙ্গি রয়েছেন।
ঘটনা শুরুর সময় নিয়মিত অধিবেশনে দেশটির নতুন প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর নিয়োগে ভোট দিচ্ছিলেন আফগানিস্তানের সাংসদরা। এসময় পার্লামেন্ট ভবনের প্রধান গেটে গাড়ি বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পার্লামেন্ট প্রাঙ্গণে ঢোকে জঙ্গিরা। মুহুর্মুহু গুলি চালিয়ে মূল ভবনের পাশের একটি কক্ষে ঢুকে পড়ে।
নিরাপত্তারক্ষীদের প্রতিরোধের মুখে পাশের নির্মাণাধীন এক ভবনে ঢুকে অস্ত্রধারীরা পার্লামেন্ট ভবন লক্ষ্য করে গ্রেনেড এবং মেশিনগানের গুলি ছোড়ে। হামলার সময় কালো ধোয়ায় ঢেকে যায় পুরো এলাকা। কাবুল পুলিশের প্রধান আব্দুল রহমান রহিমী জানিয়েছেন, পুলিশের পাল্টা গুলিতে হামলাকারীদের সবাই নিহত হয়েছে ।
হামলা চালানোর কয়েক মিনিটের মধ্যেই এর দায়িত্ব স্বীকার করে জঙ্গি সংগঠন তালেবানের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ এপিকে টেলিফোনে বলেন, ভোট দেওয়ার সময় অনেক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন বলেই হামলার জন্য ওই সময় বেছে নিয়েছিলেন।
পবিত্র রমজান মাসে চালানো এই হামলাকে ইসলামের সাথে শত্রুতা উল্লেখ করে হামলার কঠোর নিন্দা জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ বলেছেন, দুই দেশের অভিন্ন শত্রু সন্ত্রাসবাদ এর মোকাবিলায় আফগানিস্তানের সাথে যৌথভাবে কাজ করে যাচ্ছে তার দেশ।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র জন কিরবি এক বিবৃতিতে হামলার নিন্দা জানিয়ে একে মানুষের জীবন ও গণতন্ত্রের প্রতি চরম অশ্রদ্ধা বলে উল্লেখ করেছেন। সেই সাথে এ জঙ্গি হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন।