কবুতর পালন হতে পারে গ্রামীণ অর্থনীতির এক বিশাল খাত। পোল্ট্রি, ফিসারিজ কিংবা গবাদি পশু পালনের মত এই খাতও বেকারত্ব দূরীকরণ এবং আত্মকর্মসংস্থানে বিশাল ভূমিকা রাখতে পারে। রাজধানীতে সৌখিন কবুতর প্রতিযোগিতা ও প্রদর্শনীতে এমনটাই অভিমত দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
প্রাগৈতিহাসিক এমনকি মুঘল আমলে দ্রুত সংবাদ পরিবহনে ব্যবহৃত হতো প্রশিক্ষিত যে কবুতর, কালের বিবর্তন এবং প্রযুক্তির উৎকর্ষতার এই যুগে তার আবেদন কমেনি এতটুকুও। বরং দিনে দিনে কবুতর পরিণত হয়েছে শহুরে মানুষের সৌখিনতা ও সৌন্দর্য্যের সবথেকে দামি পাখিতে।
৫০ হাজার থেকে ১০ লাখ টাকা মূল্যের এমন সব কবুতর নিয়ে রাজধানী জাতীয় প্রেসক্লাবে কবুতর প্রতিযোগিতা এবং প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। যেখানে স্থান পেয়েছে উপমহাদেশের বিখ্যাত সব জাত থেকে শুরু করে ইউরোপ-আমেরিকার দামি জাতের কবুতর।
দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা এসব কবুতরের যেমন আছে বিভিন্ন আকার, রং এবং ঢংয়ের বৈচিত্র্য, তেমনি বৈচিত্র্য তাদের নামে এবং আচরণেও।
সৌখিন এসব কবুতর হাত বদলে প্রতিবছরের আর্থিক মূল্য প্রায় আড়াইশ কোটি টাকা। কবুতরের চিকিৎসা, বাজারজাতকরন এবং আমদানি-রপ্তানিসহ নানা সমস্যা উঠে আসে আলোচনা সভায়। যদি প্রয়োজনীয় প্রাপ্তিও না থেকে তবে শুধু শখ দিয়ে এই খাতে বেশি দুর এগুনো যাবে না, বলেন সভায় উপস্থিত একজন।
বেকারত্ব দূরীকরণ এবং আর্থ সামাজিক উন্নয়নে ব্যতিক্রম অথচ লাভজনক এই খাতে সরকারের দৃষ্টি দেওয়া উচিত বলে মনে করেন কৃষি উন্নয়নে গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজ।
শাইখ সিরাজ বলেন, শখটাকে একটা অর্থনৈতিক মূল্যে নিয়ে নিতে হবে। আপনি শখ করে কবুতরটা পালছেন, বড় করছেন, বিক্রি করছেন। কিন্ত এটাকে মাস লেভেলে নিতে চাইলে একে আত্মকর্মসংস্থান ও আয় বর্ধনকারী একটি প্রকল্প হিসেবে দেখলে সরকার আগ্রহী হবে। এটাকে এখন রাষ্ট্রীয়ভাবে পৃষ্ঠপোষকতা করা দরকার। যদি পৃষ্ঠপোষকতা করা হয় তবে এই খাতটি আরও অনেক এগুতে পারে।
পরে প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া খামারিদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন আমন্ত্রিত অতিথিরা।