কবি বেলাল চৌধুরী আর নেই। মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
বিগত প্রায় ৪ মাস ধরেই অসুস্থ হয়ে আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন কবি বেলাল চৌধুরী।
বেলাল চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এক শোকবার্তায় তিনি বলেন, কবিতার মধ্য দিয়ে তিনি মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন। তিনি ছিলেন সাংবাদিকতায় একজন পথিকৃৎ। তার লেখা আমাদের অনুপ্রেরণা যোগাবে।
প্রধানমন্ত্রী মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানান।
আনোয়ার খান মর্ডান হাসপাতালে কাস্টমার ম্যানেজার রাজিব কুমার সাহা চ্যানেল আই অনলাইনকে জানান, কবি বেলাল চৌধুরীর লাশ মঙ্গলবার রাতে বিএসএমএমইউয়ের হিমঘরে রাখা হবে। বুধবার সকালে তার লাশ শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য শহীদ মিনারে নেওয়া হবে।
গত ১৯ এপ্রিল বৃহস্পতিবার রাতে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ৮০ বছর বয়সী কবিকে আইসিইউতে নেয়া হয়। পরদিন শুক্রবার অবস্থার আরও অবনতি হলে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে নেয়া হয় লাইফ সাপোর্টে।
১৯৩৮ সালের ১২ নভেম্বর ফেনীর শর্শদি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন বেলাল চৌধুরী। সাহিত্যে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১৪ সালে একুশে পদক পান তিনি। অর্জন করেছেন বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারও।
‘নিষাদ প্রদেশে’, ‘স্বপ্নবন্দী’, ‘সেলাই করা ছায়া’, ‘কবিতার কমলবনে’, ‘আত্মপ্রতিকৃতি’, ‘স্থিরজীবন ও নিসর্গ’,‘যাবজ্জীবন সশ্রম উল্লাসে’ ও ‘বত্রিশ নম্বর’ তার উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ।
বাংলাদেশের অগ্রগণ্য কবিদের একজন ছিলেন বেলাল চৌধুরী। বাংলাদেশের সাহিত্যকে পশ্চিমবঙ্গে পরিচিত ও জনপ্রিয় করে তোলার ক্ষেত্রে তার অনেক অবদান ছিল। তিনি বাংলাভাষী কবিদের মধ্যে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, শক্তি চট্টোপাধ্যায় থেকে শামসুর রাহমান, সৈয়দ শামসুল হকের অভিন্ন হৃদয়েষু বন্ধু ছিলেন।
দুই বাংলায় তিনি ছিলেন জনপ্রিয় কবি।