মৃত্যুর সঠিক কারণ অনুসন্ধানে ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) অধ্যাপক মো. সেলিম হোসেনের মরদেহ কবর থেকে তোলা হয়েছে। মরদেহ তোলার পর ময়নাতদন্তের জন্য লাশ কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
বুধবার সকাল সাড়ে ৯ টায় কবরস্থানে মরদেহ উত্তোলন প্রক্রিয়া শুরু করেন কুষ্টিয়ার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ সাদাত। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কুমারখালী থানার ওসি কামরুজ্জামান তালুকদার, খুলনা খানজাহান আলী থানার ওসি প্রবীর কুমারসহ অন্যান্য কর্মকর্তা।
গত ৬ ডিসেম্বর খুলনা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার মরদেহ তোলার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে কুষ্টিয়া জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলামের কাছে চিঠি পাঠানো হয়। তাতে মৃত্যুর সঠিক কারণ অনুসন্ধানের কথা বলা হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের খানজাহান আলী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শাহরিয়ার হাসান মরদেহ কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্তের জন্য আবেদন করেন।
গত ৩০ নভেম্বর কুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক (ইইই) ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ও লালন শাহ হলের প্রাধ্যক্ষ মো. সেলিম হোসেন (৩৮) ক্যাম্পাসের পাশের ভাড়া বাসায় মারা যান। ১ ডিসেম্বর ময়নাতদন্ত ছাড়া তার মরদেহ কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার বাঁশগ্রামে দাফন করা হয়েছিল।