সাউথ আফ্রিকা সফর নিয়ে বেশ রোমাঞ্চিত ছিলেন রুবেল হোসেন। এখনও রোমাঞ্চিত। তবে মাঝের কয়েকটি দিন গেছে খুবই বাজেভাবে। সব রোমাঞ্চ কেড়ে নিতে বসেছিল ‘রুবেল হোসেন’ নামের একজন অপরাধী। যিনি সাউথ আফ্রিকার ইমিগ্রেশনের কালো তালিকাভুক্ত। তবে অনিশ্চয়তা কেটে গেছে। বিমানে চাপার অপেক্ষায় থাকা রুবেল চ্যানেল আই অনলাইনকে জানালেন, সফরে কন্ডিশন অনুযায়ী বল করার লক্ষ্যের কথা।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১টা ১৫মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে যাত্রা করবেন বাংলাদেশ দলের অন্যতম এই পেস-ব্যাটারি। সাউথ আফ্রিকায় তিনদিনের প্রস্তুতি ম্যাচটা খেলার সুযোগ হাতছাড়া হয়ে গেছে ইতিমধ্যেই। সেটি অবশ্য রুবেল আত্মবিশ্বাসে কোন নাড়া দিচ্ছে না, ‘ওখানকার কন্ডিশন পেসারদের জন্য সহায়ক। কন্ডিশন অনুযায়ী বল করতে চাই। কন্ডিশনের সুবিধা পুরোপুরি নিতে চাই। আমি যদি ম্যাচে সুযোগ পাই, অবশ্যই শতভাগ দিয়ে খেলব।’
আগে দুবার সাউথ আফ্রিকা গেছেন রুবেল। অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে একবার, আরেকবার হাঁটুর অস্ত্রোপচার করাতে। এবার যাচ্ছেন বড় মিশন নিয়ে, যেখানে বাংলাদেশ দলের টেস্টে ধারাবাহিকতা ধরে রাখার চ্যালেঞ্জের অংশীদার হয়ে।
বাংলাদেশ দলের পাঁচদিন পরে যাচ্ছেন রুবেল। বৃহস্পতিবার বেনোনিতে শুরু হওয়া প্রস্তুতি ম্যাচটা যেহেতু খেলতে পারছেন না, চান পৌঁছে আগে খেলতে না পারায় ক্ষতিটা পুষিয়ে নিতে, ‘প্রস্তুতি ম্যাচটি খেলতে পারিনি, এটা একটা সমস্যা। খেলতে পারলে ওখানকার আবহাওয়া ও উইকেট সম্পর্কে আমার একটা ধারণা থাকতো। তারপরও আমি ওখানে সময় পাব, গিয়ে রিকভারি করতে পারব।’
সাউথ আফ্রিকার ইমিগ্রেশন বিভাগ থেকে নিরাপত্তা-সংক্রান্ত ছাড়পত্র না থাকায় শনিবার বিমানবন্দর থেকে ফিরে আসা রুবেল কটাদিন বাসায়ই ছিলেন। ভুলতে চাইলেও বাজে অভিজ্ঞতা যে পীড়া দিয়েছে সেটিকে পাশ কাটাতে পারছেন না। বলেন, ‘আমরা সবাই একসাথে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ করে এরকম একটা সমস্যার মুখোমুখি হবো ভাবিনি। ব্যাপারটা বিব্রতকর ছিল। যেহেতু হয়ে গেছে তাই বলার কিছু ছিল না। তবে ভাল লাগছে যে, সমাধান হয়ে গেছে।’