সকালে যখন শ্রীলঙ্কা ব্যাটিংয়ে নামে, আকাশে মেঘের ওড়া-উড়ি। দুপুর ১২টায় লাঞ্চ বিরতির আগে মিরপুরে হানা দেয় বৃষ্টি। নষ্ট হয় এক সেশনেরও বেশি। তৃতীয় ও শেষ সেশনের খেলা যখন শুরু হয়, ঘড়ির কাটায় বিকেল চারটা। বোলারদের জন্য অনুকূল ছিল ঢাকা টেস্টের তৃতীয় দিনটি। সারাদিনে ৫১ ওভার বোলিং করে অবশ্য বাংলাদেশ তুলতে পারল সবে ৩ উইকেট। তার একটি উইকেট আবার লঙ্কানদের নাইটওয়াচম্যান ব্যাটার কাসুন রাজিথার।
বাংলাদেশের করা ৩৬৫ রানের জবাবে ৫ উইকেট হারিয়ে তিনশর কাছে পৌঁছে গেছে শ্রীলঙ্কা। ৫ উইকেটে ২৮২ রানে দিন শেষ করেছে। অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ ৫৮ ও দিনেশ চান্দিমাল ১০ রানে অপরাজিত।
লিটনের ১৪১ ও মুশফিকের অপরাজিত ১৭৫ রানে ভর করে প্রথম ইনিংসে ৩৬৫ রান তুলেছে বাংলাদেশ। তৃতীয় দিন শেষে স্বাগতিকরা এখনও ৮৩ রানে এগিয়ে, অন্যদিকে ৬ উইকেট হাতে আছে লঙ্কানদের।
ধনঞ্জয়া ডি সিলভাকে (৫৮) ফিরিয়ে ১০২ রানের জুটি ভাঙেন সাকিব আল হাসান। বাঁহাতি স্পিনার তিনটি ও ইবাদত হোসেন নেন দুটি উইকেট। তাইজুল-খালেদ সাফল্য পাননি।
দিনের খেলার মাঝের সেশন বৃষ্টিতে ধুয়ে গেলে শেষ সেশন ফ্লাডলাইট জ্বালিয়ে চালানো হয় সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। বৃষ্টিতে সময় নষ্ট হওয়ায় চতুর্থ ও পঞ্চম দিনের খেলা শুরু হবে ৩০ মিনিট আগে, সকাল সাড়ে ৯টায়।
আগেরদিন ৩৭ রানে বেঁচে যাওয়া দিমুথ করুনারত্নেকে তৃতীয় দিন সকালেই ফেরান সাকিব। বিস্ময়কর এক ডেলিভারিতে বাঁহাতি স্পিনার বোল্ড করেন লঙ্কান অধিনায়ককে। ৯ চারে ১৫৫ বলে ৮০ রান করে যান বাঁহাতি ওপেনার।
দিনের খেলা শুরু হতে হতেই দলকে সাফল্য এনে দেন ইবাদত হোসেন। নাইটওয়াচম্যান রাজিথাকে দ্বিতীয় বলে বোল্ড করে স্টাম্প উপড়ে ফেলেন।
শ্রীলঙ্কা ইনিংসের প্রথম উইকেটের দেখা পেতে অবশ্য বাংলাদেশকে অপেক্ষা করতে হয়েছিল দীর্ঘক্ষণ। ৯৫ রানের ওপেনিং জুটি গড়ে দিয়ে ওশাধা ফার্নান্দো আউট হন ইবাদতের বলে। ক্যাচ দেন স্লিপে নাজমুল হোসেন শান্তর হাতে। খেলেন ৫৭ রানের ইনিংস।