একুশে পদকপ্রাপ্ত কথা সাহিত্যিক রিজিয়া রহমান মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
প্রখ্যাত এই ঐপন্যাসিকের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শুক্রবার বাদ আসর উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টরের ১৮ নম্বর রোডের মসজিদে মরহুমার নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হবে।
রিজিয়া রহমান বাংলাদেশের অন্যতম কথাসাহিত্যিক। স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশের একজন খ্যাতনামা ঔপন্যাসিক তিনি। তার জন্ম ১৯৩৯ সালে কলকাতার ভবানীপুরে। ’৪৭-এর দেশভাগের পর পরিবারের সঙ্গে তিনি বাংলাদেশে চলে আসেন। এরপরে শৈশব-কৈশোর, বেড়ে ওঠা, পড়াশোনা সবই বাংলাদেশে।
নিজের লেখনির মাধ্যমে বাংলা সাহিত্য জগতে প্রায় ছয় দশক ধরে অবদান রেখেছেন রিজিয়া রহমান। তার উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে: অগ্নিসাক্ষরা, ঘর ভাঙা ঘর, রক্তের অক্ষর, বং থেকে বাংলা, অলিখিত উপাখ্যান, সূর্য-সবুজ-রক্ত, অরণ্যের কাছে, উত্তর পুরুষ, শিলায় শিলায় আগুন, হে মানব মানবী, নদী নিরবধি, পবিত্র নারীরা এবং সীতা পাহাড়ে আগুন। অভিবাসী আমি ও নদী নিরবধি নামে দু’টি আত্মজীবনীও লিখেছেন এই প্রখ্যাত ঔপন্যাসিক।
লেখালেখির স্বীকৃতি হিসেবে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন রিজিয়া রহমান।
উপন্যাসে অবদানের জন্য তিনি ১৯৭৮ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার চলতি বছর তাকে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদকে ভূষিত করে।