সামাজিক মাধ্যমে চলছে ‘অ্যাকুয়াম্যান টু’ থেকে অ্যাম্বার হার্ডকে বাদ দেয়ার আন্দোলন। তবে এই কঠিন সময়ে অ্যাম্বার হার্ডের পাশে আছেন সিনেমাটির প্রযোজক পিটার সাফরান।
‘ডেডলাইন’-এ সাফরান বলেছেন, আমার মনে হয় ভক্তদের চাপের মুখে কোনো প্রতিক্রিয়া জানানোর প্রয়োজন নেই। সিনেমার জন্য যা ভালো, সেটাই করবো। আমাদের মনে হয়েছে যে পরিচালক যদি জেমস ওয়ান আর অভিনেতা হিসেবে জেসন মমোয়া থাকেন, তাহলে অ্যাম্বার হার্ডকেও নেয়া উচিত।
‘অ্যাকুয়াম্যান’ ছবিতে ‘মেরা’ চরিত্রে অভিনয় করেছেন অ্যাম্বার হার্ড। সেই সময়ে তুমুল জনপ্রিয়তা পেলেও বর্তমানে ইন্টারনেটের ‘মোস্ট হেটেড’ তারকাদের একজন এখন অ্যাম্বার হার্ড।
জনি ডেপ মামলায় হেরে যাওয়ার পর তাকে ‘ফ্যান্টাস্টিক বিস্টস’ ফ্রাঞ্চাইজি থেকে বেরিয়ে যেতে বাধ্য করা হয়েছে। এরপর সোশ্যাল মিডিয়ায় জনি ডেপের ভক্তরা দাবী তুলেছেন ‘অ্যাকুয়াম্যান টু’ ছবি থেকে অ্যাম্বার হার্ডকে বাদ দেয়ার জন্য।
হলিউড তারকা জনি ডেপ ও অ্যাম্বার হার্ড ২০১৫ সালে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেও ২০১৬ সালে জনি ডেপের বিরুদ্ধে শারীরিক ও যৌন হেনস্তার অভিযোগ এনে আদালতে ডিভোর্সের আবেদন করেন অ্যাম্বার হার্ড। স্ত্রীর সেই অভিযোগ অস্বীকার করলেও প্রায় ৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করে বিচ্ছেদের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন জনি ডেপ।
সেই সময়ে আদালতের কাছে দুইজন প্রতিজ্ঞা করেছিলেন যে, ভবিষ্যতে তাদের দাম্পত্য জীবন নিয়ে জনসম্মুখে আর কোনো ধরনের আলোচনা করবেন না তারা।
কিন্তু ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন পোস্টের কাছে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রাক্তন স্বামী জনি ডেপের বিরুদ্ধে আবারও শারীরিক ও যৌন নির্যাতনের অভিযোগ করেন তার সাবেক স্ত্রী অ্যাম্বার হার্ড। এ কারণেই পরবর্তীতে ব্যক্তিগত আইনজীবীর সহায়তায় মানহানির মামলা করেছিলেন জনি ডেপ। ৫০ মিলিয়ন ডলারের এই মানহানি মামলায় হেরে ক্যারিয়ার নিয়ে বিপাকে পড়েছেন এই তারকা। -ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস