চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

কক্সবাজারে হত্যা মামলায় একজনের ফাঁসি, ৪ জনের যাবজ্জীবন

কক্সবাজারে একটি হত্যা মামলায় একজনের ফাঁসি ও চারজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বেকসুর খালাস পেয়েছেন তিন জন।

গত বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) মামলার শুনানি শেষে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আবদুল্লাহ আল মামুন এ রায় প্রদান করেন।

ফাঁসির আদেশপ্রাপ্ত আসামী আবদুল খালেক (৩৫) কক্সবাজার সদরের ঝিলংজার চান্দের পাড়ার কালু মাঝির ছেলে। একই মামলায় মোহাম্মদ কাজল, আমির হামজা, সলিম উল্লাহ ও আবদুল গাফফার নামের চার আসামীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।

দণ্ডপ্রাপ্ত ৫ জনের প্রত্যেককে ১ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে অতিরিক্ত ১ বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেছেন বিচারক। একই মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বেকসুর খালাস পেয়েছেন- আবদুল জলিল, আশফাকুর রহমান মিল্কী ও ওবায়দুল হক।

ফাঁসির আদেশপ্রাপ্ত আসামী আবদুল খালেক ও যাবজ্জীবন দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামী আমির হামজা জেল হাজতে রয়েছে। রায় ঘোষণাকালে তারা কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিল।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অতিরিক্ত পিপি এডভোকেট মোজাফফর আহমদ হেলালী।

২০০২ সালের ২৯ জুলাই রাত আড়াইটার দিকে কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা লারপাড়া কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের দক্ষিণ পাশে ক্যাফে হায়দার হোটেলের নিকট জনৈক শাহাবুদ্দিনের একটি গাড়ি আসামীরা ভিন্ন চাবি ব্যবহার করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে শাহাবুদ্দিনের বড় ভাই আক্তার উদ্দিন তাতে বাধা দেন। এতে উভয়পক্ষের মধ্যে তুমুল বাকবিতণ্ডা হয়। রাত সাড়ে ৩ টার দিকে আসামীরা আক্তার উদ্দিন (৩৫) কে গুলি করে হত্যা করে।

এ ঘটনায় উখিয়ার রত্নাপালং এর জমির উদ্দিনের পুত্র আব্বাস উদ্দিন বাদী হয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।

অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বেঞ্চ সহকারী দেলোয়ার হোসাইন জানান, ২০০৩ সালের ৩ জুন মামলাটির চার্জশিট গঠন করা হয়। মামলার চার্জশিটভুক্ত ২০ জন সাক্ষীর মধ্যে আইও, চিকিৎসকসহ ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ, জেরা, আসামীদের আত্মপক্ষ সমর্থন, যুক্তিতর্কসহ সকল বিচারিক কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়।

রায় ঘোষণার নির্ধারিত দিনে বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আবদুল্লাহ আল মামুন মামলার ৮ আসামির মধ্যে ফৌজদারী দণ্ডবিধির ৩০২ এবং ৩৪ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে ১ জনকে ফাঁসি ও ৪ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন।