কক্সবাজারের প্রবল বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। বন্যার পানিতে নিখোঁজ আরো ৫ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এই নিয়ে গত ৩দিনে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৫ জনে।
জেলার চকরিয়া, রামু, পেকুয়া ও সদর উপজেলার ৩০টি ইউনিয়নের ২ লক্ষ মানুষ এখনো পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছে। সড়কের উপর পানি প্রবাহিত হওয়ায় গত ৩ দিন ধরে কক্সবাজার-টেকনাফ মহাসড়ক, রামু-নাইক্ষ্যংছড়ি সড়ক, চকরিয়া-মগনামা সড়কের যোগযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
কক্সবাজার টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের একটি ব্রিজ ধসে যাওয়ায় ওই সড়ক দিয়েও যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। মাতামুহরী ও বাকখালী নদীর পানি এখনো বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
কক্সবাজার জেলার ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক ড.অনুপম সাহা জানিয়েছেন, জেলায় বন্যাদুর্গত লোকদের জন্য ১৪৫ মে.টন চাল, নগদ ১১ লক্ষ টাকা, ৫০ বস্তা চিড়া বরাদ্দ করা হয়েছে।
এছাড়া প্রতিটি মৃত পরিবারের জন্য ২০ হাজার টাকা করে নগদ সাহায্য দেয়া হবে। তিনি আরো জানান, জেলায় বন্যাদুর্গত এলাকায় ১৪১টি আশ্রয় কেন্দ্রে এই পর্যন্ত ৬৫ হাজার ২’শ জনকে আশ্রয় দেয়া হয়েছে।
কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়বিদ একে এম নাজমুল হক জানিয়েছেন, গত ২৪ ঘন্টায় কক্সবাজারে ১৩৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের রের্কড করা হয়েছে।