কক্সবাজারের টেকনাফে পিকআপ উল্টে তিন রোহিঙ্গা এবং চকরিয়ায় বাস ও মাইক্রোবাস মুখোমুখি সংঘর্ষে নারীসহ দুইজন নিহত হয়েছেন। দুটি দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ২০ জন।
শুক্রবার দুপুরে এ দুটি দুর্ঘটনা ঘটে।
বেলা দেড়টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের নোয়াখালী এলাকায় একটি পিকআপ উল্টে ৩ জন রোহিঙ্গা নিহত হয়। এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো ১৫ জন।
নিহতরা হলেন, বালুখালী ক্যাম্পের নুর মোহাম্মদ (৪০), মো. ইদ্রিস (৩০) ও মো. জোবাইর (১৭)।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন: ঈদ উপলক্ষে রোহিঙ্গারা পিকআপ যোগে আনন্দ করে বেড়াতে যাচ্ছিল। এসময় পিকআপটি উল্টে যায়। এতে ঘটনাস্থলে মারা যান ৩ জন। আহত হয়েছে আরো ১৫ জন।
তিনি জানান: আহতদের টেকনাফ এবং কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহতদের মৃতদেহ কক্সবাজার সদর হাসপাতালে মর্গে রয়েছে।
শুক্রবার বেলা সাড়ে ১২ টায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের মেধাকচ্ছপিয়া ঢালা নামক এলাকায় বাস ও মাইক্রোবাস মুখোমুখি সংঘর্ষে ২ জন নিহত হয়েছে।
বিষয়টি চ্যানেল আই অনলাইনকে নিশ্চিত করেছেন মালুমঘাট হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ আলমগীর।
নিহতরা হলেন: চকরিয়ার খুটাখালী ইউনিয়নের উত্তর ফুলছড়ি এলাকার খলিলুর রহমানের স্ত্রী রওশন আরা বেগম (৪৫) এবং ডুলাহাজারা ইউনিয়নের চা-বাগান এলাকার দীপক পালের ছেলে সনাক পাল (২৬)।
মোহাম্মদ আলমগীর বলেন: বেলা সাড়ে ১২টায় কক্সবাজারমুখি ইউনিক বাসের সঙ্গে চকরিয়াগামী মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। এতে ঘটনাস্থলে এক নারী নিহত হয়। ঘটনায় আহত হয় ৫ জন।
স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে মালুমঘাট খ্রিশ্চিয়ান মেমোরিয়াল হাসপাতাল এবং চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। পরে সেখানে সনাক পাল নামের একজনের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে নেয়ার পথেই সনাক পালের মৃত্যু হয়।
নিহতদের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান মোহাম্মদ আলমগীর।