আওয়ামী রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান ইশতিয়াক আহমেদ জয়। যিনি কক্সবাজার সদর রামু আসনের গ্রামে গ্রামে শেখ হাসিনার উন্নয়নের গল্প শিরোনামে আওয়ামীলীগ সরকারের উন্নয়ন প্রচার করছেন এবং সামাজিক ও ধর্মীয় নানা কর্মকাণ্ডতে অংশ নিচ্ছেন।
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে কক্সবাজার ০৩ (সদর-রামু) আসনে সবচেয়ে কনিষ্ঠ মনোনায়ন প্রত্যাশীর নাম ইশতিয়াক আহমেদ জয়, যিনি জেলা ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।
এলাকার তরুণদের জনপ্রিয় নেতা জয়, সকলের সঙ্গে হৃদ্যতার সম্পর্ক জানতে চাইলে ইশতিয়াক আহমেদ জয় চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন: বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের এ অঞ্চলের ভার আমার ওপর।
দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তরুণদের খুব কাছ থেকে দেখেছি।তাদের কথা তাদের মত করে বোঝার চেষ্টা করেছি। সমাধানের চেষ্টা করেছি। কখনো পেরেছি, আবার কখনো পারিনি। আমার নির্বাচনী এলাকায় ৩ লাখ ৬২হাজার ভোটার রয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে হাজার হাজার তরুণ। তাদের কান্নার রঙ আমার চেনা। তাদের হাসিমাখা মুখ আমার পরিচিত। সাধারন মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নকে ধারন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়ন করতে তারুন্যের প্রতিনিধি হয়ে এই জনপদে কাজ করে যাচ্ছি।
এলাকার নেয়া আপনার বিভিন্ন সামাজিক উদ্যোগগুলো প্রশংসিত হয়েছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে জয় বলেন, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই কখনো রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প,কখনো পরিচ্ছন কক্সবাজার গড়ার আন্দোলন,আবার কখনো কোরবানির ঈদের দিনে বর্জ্য অপসারণ করে ভাল কিছু করার চেষ্টা করেছি। ভাল সৃষ্টিশীল কাজের মধ্য দিয়ে সমাজ পরিবর্তনের লক্ষ্যে কক্সবাজারে এগিয়ে নিয়ে যেতে এই প্রজন্মের প্রতিনিধি হিসেবে আমি আরো ব্যাপক ভাবে নিজেকে সম্পৃক্ত করতে চাই।
দলীয় মনোনায়নের বিষয়ে ইশতিয়াক আহমেদ জয় বলেন, আমার কাজ আমি করে যাব। সোনার বাংলা গড়ায় সবাইকে পাশে চাই। মনোনায়ন চাইব, নেত্রী এবং দল যদি আমাকে যোগ্য মনে করে তবে অবশ্যই মনোনয়ন পাব। সবশেষে নেত্রীর সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। উনি যখন যেখানে যা করতে নির্দেশ দিবেন তা পালন করতে নিজেকে প্রস্তুত রেখেছি।
মনোনয়ন পেলে নিজের জেলাকে শহরকে বিশ্বের বুকে কিভাবে তুলে ধরতে চান এমন প্রশ্নের জবাবে ইশতিয়াক আহমেদ বলেন: আমি কক্সবাজারের সন্তান। এই সমুদ্র আর সমুদ্রতীরের সবকিছুই আমার খুবই আপন। কিন্তু মাঝে মাঝে খুব মন খারাপ হয়, হতাশ হই। কারণ, পৃথিবীর সবচেয়ে দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত কক্সবাজার আর্ন্তজাতিক মানের পর্যটনকেন্দ্র হয়ে উঠতে পারেনি। এই শহর হওয়া উচিত ছিল বাংলাদেশের শুধু নয় পুরো দক্ষিণ এশিয়ার পর্যটন রাজধানী। আমার শহর ও আমার সমুদ্রকে আমি বিশ্বমানের দেখতে চাই। চাই ভারতের গোয়ার সাথে পাল্লা দিক আমার কক্সবাজার। নেপাল ভুটান কিংবা মালদ্বীপ না গিয়ে মানুষ কক্সবাজার বেড়াতে আসুক। আমাদের সমুদ্রে সীমায় যে বিপুল পরিমান সম্পদ রয়েছে যাকে আমরা “ব্লু ইকোনোমি” বলছি তার সঠিক ব্যবহারের জন্য আমি আমার তরুণ প্রজন্মকে কাজে লাগাতে চাই।
স্থানীয় রাজনীতি সম্পর্কে তিনি বলেন, সব বিভেদ দূর করে সকল শ্রেণির মানুষকে নিয়ে কাজ করাই আমার আসল লক্ষ্য। আর তাই মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে আগামী জাতীয় নির্বাচনে কক্সবাজার ০৩ (সদর-রামু) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি।