চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

ওয়েব সিরিজ: গ্রামীণফোন ও রবি’র কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে তথ্য মন্ত্রণালয়

গ্রামীণফোন ও রবি’র প্ল্যাটফর্ম এবং নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে সম্প্রতি ওয়েব সিরিজের নামে সেন্সরবিহীন কুরুচিপূর্ণ ভিডিও কন্টেন্ট ওয়েবে আপলোড ও প্রচারের বিষয়ে মোবাইল কোম্পানি দু’টির কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে তথ্য মন্ত্রণালয়।

বুধবার (২৪ জুন) তথ্য অধিদফতর থেকে কোম্পানি দু’টির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর পৃথক পত্র জারি করা হয়।

পত্র দু’টিতে বলা হয়: ‘আপনার প্ল্যাটফর্ম এবং নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে সম্প্রতি ওয়েব সিরিজের নামে সেন্সরবিহীন নগ্ন, অশালীন ও কুরুচিপূর্ণ দৃশ্য, কাহিনী ও সংলাপ সংবলিত ভিডিও কন্টেন্ট ওয়েবে আপলোড করে প্রচার করা হয়েছে বলে জানা গেছে, বিষয়টি সরকারের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। বিষয়টি সম্পর্কে দেশের গণমাধ্যম অত্যন্ত নেতিবাচকভাবে প্রচার করেছে এবং সমাজে এর ব্যাপক বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। এ ধরনের ভিডিও কন্টেন্ট আপনার প্ল্যাটফর্ম এবং নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে ওয়েবে আপলোড এবং প্রচার করার জন্য আপনার প্রতিষ্ঠান সরকারের কোন রেজিস্ট্রেশন বা লাইসেন্স প্রাপ্ত কিনা এবং থাকলে তা কী– তা সরকারের জানা প্রয়োজন।’

চিঠিতে ওয়েব সিরিজের নামে সেন্সরবিহীন অশালীন ভিডিও কন্টেন্ট আপলোড ও প্রচার করা দেশের প্রচলিত আইনের সুস্পষ্ট লংঘন ও সামাজিক মূল্যবোধের পরিপন্থী জানিয়ে বলা হয়: ‘এ ধরণের সেন্সরবিহীন, নগ্ন ও অশালীন দৃশ্য, কাহিনী ও সংলাপ সংবলিত ভিডিও কন্টেন্ট প্রচার দেশের প্রচলিত আইন যেমন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) আইন, ২০১০ এর ৬৯ ধারা, পর্ণোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১২ এর ৪ ও ৮ ধারা, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন, ২০০৬ এর পেনাল কোড, ১৮৬০ এর সম্পূর্ণ পরিপন্থী। এ ধরণের ভিডিও কন্টেন্ট প্রচার আমাদের সমাজের প্রচলিত মূল্যবোধের পরিপন্থী। আপনার প্রতিষ্ঠানের মতো বৃহৎ একটি প্রতিষ্ঠানের নিকট এ ধরনের কার্যকলাপ মোটেই কাম্য নয়।’

উল্লিখিত ধরনের ভিডিও কন্টেন্ট আপলোড ও প্রচারে প্রতিষ্ঠান দু’টির সরকারি কোনো রেজিস্ট্রেশন বা লাইসেন্স থাকলে তার বিবরণসহ আগামী সাত দিনের মধ্যে ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য চিঠিতে বলা হয়েছে।