‘হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি: শেখ মুজিবুর রহমান’-এ প্রতিপাদ্য বিষয় নিয়ে মুক্ত আসরের উদ্যোগে শুরু হয়েছে ১৫ দিন ব্যাপী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আন্তর্জাতিক সম্মেলন-আইবিসিএমআর-২০২০।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানে জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ ইতিহাস অলিম্পিয়াড জাতীয় কমিটির আয়োজনে আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু হয় ১৫ আগস্ট সন্ধ্যা ৭টায় থেকে।
ওয়েবিনারে এই সম্মেলন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান,এমপি, মুক্ত আসরের প্রধান উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) মাসুদুর রহমান বীর প্রতীক, বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএসএ মনসুর আহমেদ, বাংলাদেশ ইতিহাস অলিম্পিয়াড জাতীয় কমিটির সভাপতি সেলিনা হোসেন, সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ইতিহাসবিদ অধ্যাপক একেএম শাহনাওয়াজ, অধ্যাপক এমরান জাহান, ড. আবেদা সুলতানা, রাশেদা নাসরীন, নুরুন আখতার ও জাতীয় মানসিক হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক হেলাল উদ্দিন আহমেদ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ইতিহাস অলিম্পিয়াড কমিটির সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ড. আবেদা সুলতানা জাতীয় শোক দিবসে জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সবাইকে গভীরভাবে স্মরণ করেন। স্মরণ করা হয় দেশ বরণ্য শিল্পী ও ভাষাসংগামী মুর্তজা বশীরকে।’
বাংলাদেশ ইতিহাস অলিম্পিয়াড জাতীয় কমিটির সভাপতিত্ব সম্মেলনের উদ্বোধন ঘোষণা করেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ইতিহাস অলিম্পিয়াড জাতীয় কমিটির আয়োজনে প্রথমবারের মতো জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উপর আর্ন্তজাতিক সম্মেলন যা ওয়েবিনারের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ইতিহাস অলিম্পিয়াড কমিটিকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। সহআয়োজকদেরও তিনি ধন্যবাদ জানান।
কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন বলেন, এই দিনটি আমি ব্যক্তিভাবে মনে করি, শুধু শোকের দিন নয়, বঙ্গবন্ধুর কাছ থেকে পাওয়া শক্তির দিনও। আমরা শোক এবং শক্তিকে এক করে দেখবো। শক্তির যে জায়গায়, যখন আমরা বঙ্গবন্ধু রাজনীতি, সামাজিক দর্শন আমাদেন জীবনে ধারণ করব তখনই সেটা শক্তিতে রুপান্তর করা।
অধ্যাপক একেএম শাহনাওয়াজ বলেন, তরুণরা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মকে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য ইতিহাস অলিম্পিয়াড এমন একটি চমৎকার আয়োজন করেছে। অনুষ্ঠানের সাফল্যতা কামনা করছি।
জাতীয় মানসিক হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক হেলাল উদ্দিন আহমেদ, ‘বাংলাদেশের ইতিহাস চর্চায় যে নামটি উচ্চারিত হয়ে তা হলো জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।’
১৫ দিনের এই সম্মেলনে বাংলাদেশসহ ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, পেরু, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রের থেকে ২১জন খ্যাতিমান শিক্ষক, গবেষক, লেখক, নির্মাতা, চিত্রশিল্পী, সাংবাদিক ও মানবাধিকার কমী অংশ নিতেছেন।
আয়োজনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উপরের গুরুত্বপূর্ণ ২১টি বিষয়ের উপরে প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হবে।
আজ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মনিরা পারভীনের বঙ্গবন্ধুর উপর নৃত্যালেখ্য পরিবেশনার মাধ্যমে দিয়ে দ্বিতীয় দিন শুরু হবে।
এরপর মূল প্রবন্ধ পাঠ করবেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. এ কে এম শাহনাওয়াজ ও রাত ৮. ১৫ মিনিটে বঙ্গবন্ধুর শৈশবে বেড়ে ওঠা এবং রাজনৈতিক চেতনার প্রকাশ নিয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন কবি ও কথাসাহিত্যি আনিসুল হক এবং সাড়ে ৯টায় লেখক ও্ গবেষক প্রিয়জিৎ দেবসরকার।
এই সম্মেলনে প্রবন্ধ উপস্থাপনা করবেন বাংলাদেশের গবেষক, লেখক ও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে ট্রাস্টি মফিদুল হক, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের দর্শনের অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান শরীফ উদ্দিন আহমেদ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস-সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান মো.আতিয়ার রহমান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের চেয়ারম্যান ও সহযোগী অধ্যাপক জেবউননেছা, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ স্টাডিজ অধ্যাপক স্বরোচিষ সরকার, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ব বিভাগের এ এইচ এম জেহাদুল করিম, ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ সেলিম,জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক এমরান জাহান, বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও লেখক সেলিম জাহান, ভারতের রবীন্দ্র ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক আশীষ কুমার দাস, পাকিস্তানের মানবাধিকার কর্মী আরিফ আজকিয়া, বেলুস্তানের জাতীয় নেতা মেহেরান মারি, কানাডার লেখক ও গবেষক তাহের আসলাম গোরা, পেরুর কবি, লেখক ও নির্মাতা ওয়াল্টার ভিয়ানোয়েভা আছায়া, যুক্তরাজ্যের ভারতের প্রাক্তন কূটনৈতিক ও লেখক শশাঙ্ক শেখর ব্যানার্জি, ইতিহাসবিদ মমতাজ উদ্দীন পাটোয়ারী, নেপালের শিল্পী মুকেশ শ্রেষ্ঠা ও যুক্তরাষ্ট্রের সাংবাদিক সৈয়দ মাহমুদুল্লাহ।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সম্মেলনে সহযোগিতায় স্বপ্ন ’৭১ প্রকাশন, লন্ডন ১৯৭১, সিনু, ব্ল কিউব ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা সংসদ ।