২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর আর কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচই খেলেননি। তার সক্ষমতা নিয়ে সন্দেহ আছে কোচ মিকি আর্থারেরও। সেই ওয়াহাব রিয়াজ পাকিস্তানের চূড়ান্ত বিশ্বকাপ দলে জায়গা পাওয়ায় শুরু হয়েছে তুমুল শোরগোল। স্বজনপ্রীতি করেছেন পাকিস্তানি নির্বাচকরা, উঠেছে এমন প্রশ্ন! আর এ পেসার বলছেন, ১০দিন আগে দেখা তার স্বপ্নই শেষপর্যন্ত সত্যি হয়েছে!
‘আমি মিকি আর্থার আর সরফরাজ আহমেদকেও স্বপ্নে দেখেছি। দেখেছি তারা আমাকে দলে নিচ্ছেন, আবার বেরও করে দিচ্ছেন!’
‘দশদিন আগে আমি স্বপ্নে দেখি ইনজি ভাই(প্রধান নির্বাচক ইনজামাম) আমাকে ফোন করে বলছেন, শেষ সুযোগটা পাচ্ছ। শেষ পর্যন্ত সেটাই হয়েছে। উত্থান-পতনের মধ্যে দিয়ে যাওয়া একজন ক্রিকেটারের জন্য এরচেয়ে ভালো সুযোগ কিছু হতেই পারে না।’
আন্তর্জাতিক ম্যাচ না খেললেও ঘরোয়া ক্রিকেটে একজন পরীক্ষিত পেসারের নাম ওয়াহাব রিয়াজ। সবশেষ ঘরোয়া আসরে পাঁচ ম্যাচে ১০ উইকেট নিয়ে হয়েছেন আসর সেরা। ডার্বিশায়ারের হয়ে কাউন্টি ক্রিকেট টি-টুয়েন্টি ব্লাস্টে খেলার অভিজ্ঞতাও দলে ফেরাতে সাহায্য করেছে তাকে।
এরপরও যারা সমালোচনা করছেন তাদের মুখে জবাব না দিয়ে মাঠের পারফরম্যান্সে বুঝিয়ে দিতে চান বাঁহাতি এ পেসার।
‘গত দুই বছর ধরে দলে ফেরার জন্য আমি অনেক পরিশ্রম করেছি। কী করতে পেরেছি সেটা ফলেই প্রমাণিত। এক ম্যাচের ফল দিয়ে আপনি কাউকে বিচার করতে পারেন না। আমি একজন বোলার যে ৬০, ৭০, ৮০ রান হজম করতেই পারি। তাই বলে এর মানে এই নয় আমি বোলিংয়ের সক্ষমতা আর দক্ষতা হারিয়ে ফেলেছি!’