জিতলেই টিকে থাকবে ফাইনালের আশা আর হারলে বিদায়, এমন সমীকরণের সামনে দাঁড়িয়ে বিপিএলের প্লে-অফে খুলনা টাইগার্সকে জয়ের জন্য ১৯০ রানের চ্যালেঞ্জ দিয়েছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।
সোমবার মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে টসে আগে ব্যাটিংয়ে নামা চট্টগ্রাম ৫ উইকেটে ১৮৯ রান করেছে। শেষ ৬ ওভারে ৮০ রান তুলে খুলনাকে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখেই ফেলে দিয়েছে বন্দরনগরীর দলটি। চ্যাডউইক ওয়ালটন ৪৪ বলে ৭ চার ও ৭ ছক্কায় অপরাজিত ৮৯ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
ম্যাচ শুরুর আগেই বড় এক ধাক্কা খায় চট্টগ্রাম। ৫৭ বলে ৯২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে বিপিএলের প্লে-অফে তোলা উইল জ্যাকস পেটের পীড়ায় খেলতে পারছেন না এলিমিনেটর ম্যাচ। খাদ্যে বিষক্রিয়ায় কিছুটা অসুস্থ হওয়ায় তিনি মাঠে নামতে পারেননি।
জ্যাকসের জায়গায় একাদশে ঢোকা ওপেনার কেনান লুইস প্রথম ওভারেই আগ্রাসী ব্যাটিং শুরু করেছিলেন। খালেদ আহমেদের করা ইনিংসের প্রথম বলেই মারেন চার। চতুর্থ বলে হাঁকান ছক্কা।
তবে প্রথম ওভারের শেষ বলে আরেক ওপেনার জাকির হাসান রানের খাতা না খুলেই আউট হন। খালেদের শর্ট পিচ বলে মারতে গিয়ে ফ্লেচারের হাতে ধরা পড়েন।
ব্যাট হাতে আজ ভালো করতে পারেননি চট্টগ্রাম অধিনায়ক আফিফ হোসেন ধ্রুব। রুয়েল মিয়ার বলে মুশফিকুর রহিমের গ্লাভসবন্দি হওয়ার আগে ৩ রানের বেশি করতে পারেননি।
তৃতীয় উইকেটে চাডউইক ওয়ালটনকে নিয়ে ৩৮ রান যোগ করে শুরুর ধাক্কা সামাল দেন কেনান। যদিও রানের গতি টি-টুয়েন্টিসুলভ ছিল না।
নাবিল সামাদের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে কেনান সাজঘরে ফিরলে ভাঙে জুটি। ৩২ বলে ৪টি চার ও ২ ছক্কায় তিনি খেলেন ৩৯ রানের ইনিংস।
দুই চার মেরে ভালো কিছুর ইঙ্গিত দিলেও সেটি করতে পারেননি শামীম হোসেন পাটোয়ারী। ৭ বলে ১০ রান করে তিনি মাহেদি হাসানের বলে লেগ বিফোরে কাটা পড়েন।
৬৫ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ে চট্টগ্রাম। এরপর মেহেদী হাসান মিরাজকে নিয়ে পঞ্চম উইকেটে প্রতিরোধ গড়েন ওয়ালটন। আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করে ক্যারিবীয়ান এই ক্রিকেটার ২৮ বলেই তুলে নেন ফিফটি।
ফিফটি করার পরও নিজের ঝড় থামাননি ওয়ালটন। দলকে বড় স্কোর পাইয়ে দিতে ছিলেন মরিয়া। ওয়ালটন-মিরাজ জুটি গড়েন ১১৫ রানের বড় জুটি। শেষ ওভারে খালেদের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ৩০ বলে ২ চার ও এক ছক্কায় করেন ৩৬ রান। শেষ দিকে ৩ বলে ১ ছক্কায় ৮ রানে অপরাজিত থাকেন বেনি হাওয়েল।