গোছানো ব্যাটিং করেও পাওয়ার প্লে-তে ঝড়ের বেগে রান তুলতে সক্ষম ব্যাটসম্যানদের তালিকায় উপরের দিকেই থাকবে ডেভিড ওয়ার্নারের নাম। বড় ইনিংস খেলতেও পটু এ অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার। যে কারণে টি-টুয়েন্টি আসরে তার চাহিদা আকাশছোঁয়া।
বল টেম্পারিংয়ের কারণে অস্ট্রেলিয়া দলের বাইরে থাকার সময়টাতে প্রথমবার বিপিএল খেলতে এসেছেন ওয়ার্নার। সিলেট সিক্সার্সের নেতৃত্ব দিচ্ছেন অজি তারকা। দলটিতে খেলছেন বাংলাদেশের তরুণ প্রতিভাবান অলরাউন্ডার আফিফ হোসেন ধ্রুব। ওয়ার্নারের মতো আফিফও ব্যাট করেন বাঁহাতে। প্রিয় ব্যাটসম্যানকে সতীর্থ হিসেবে পেয়ে দারুণ খুশি তিনি।
‘ওয়ার্নার যেহেতু ওপেনার, ব্যাটিংয়ের দিক থেকে অনেককিছু শেখার আছে। ব্যাটিংয়ে পাওয়ার প্লে কীভাবে কাজে লাগায়, টপঅর্ডারে কীভাবে ইনিংস গড়ে, এই জিনিসগুলো কাছ থেকে দেখে অনেককিছু শেখার আছে।’
‘সবসময় দলের সবার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকছে সে, যখন অনুশীলন করছি বা হোটেলে থাকছি, অনেক মজা করছে। সবাইকে সবসময় একসঙ্গে রাখছে, যেটি দলকে খুব সাহায্য করছে।’ ওয়ার্নারের অধিনায়কত্ব নিয়ে আফিফ বললেন এভাবেই।
অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ খেলার আগেই তারকা হয়ে ওঠা ক্রিকেটার আফিফ। ২০১৬ সালের বিপিএলে ‘ধ্রুবতারা’ হয়ে জ্বলেন এ অলরাউন্ডার। প্রথম ম্যাচে নেমেই করেন বাজিমাত। নেন ৫ উইকেট। সেই থেকেই বিপিএলে নিয়মিত খেলছেন।
গত বছর নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত যুব বিশ্বকাপে ব্যাটে-বলে দারুণ পারফরম্যান্স করেছেন আফিফ। গত রোববার বিপিএলে নিজেদের প্রথম ম্যাচে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের বিপক্ষে এ বাঁহাতির ব্যাটে আসে ১৬ বলে ১৯ রান।
১৯ বছর বয়সী আফিফ এগিয়ে যেতে চান বহুদূর। বাংলাদেশের হয়ে একটি টি-টুয়েন্টি খেলা এ ক্রিকেটার আত্মবিশ্বাসী নিজেকে নিয়ে, ‘নিজের উন্নতি বলতে, আমি সবসময়ই চেষ্টা করি যখন যেখানে খেলি, নিজের সেরাটা দেয়ার। এভাবেই এগিয়ে যেতে চাই। যখন যেখানে খেলব, সেখানেই সেরাটা দিতে চাই।’