ওষুধের কাঁচামাল বা অ্যাকটিভ ফার্মাসিউটিক্যালস ইনগ্রিডিয়েন্টস (এপিআই) রপ্তানির বিপরীতে ভর্তুকি পেতে হলে এপিআই সনদের বদলে এখন থেকে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি’র) সনদ লাগবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রজ্ঞাপনে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
রপ্তানি বাণিজ্যকে উৎসাহিত করতে নিজস্ব কারখানায় উৎপাদিত ওষুধের কাঁচামাল বা অ্যাকটিভ ফার্মাসিউটিক্যালস ইনগ্রিডিয়েন্টস (এপিআই) রপ্তানির বিপরীতে সরকার ২০ শতাংশ ভর্তুকি দিয়ে আসছে। ২০১৭-১৮ অর্থবছর থেকে জাহাজিকৃত পণ্যের (এফওবি) ক্ষেত্রে এ ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে।
তবে এ ভর্তুকি পেতে এতদিন বাংলাদেশ এপিআই অ্যান্ড ইন্টারমিডিয়ারিজ ম্যানুফেকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সনদপত্র দরকার ছিল। কিন্তু এখন থেকে এই অ্যাসোসিয়েশনের সনদের বদলে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো’র (ইপিবি) প্রত্যয়ন পত্র সুবিধা প্রত্যাশী প্রতিষ্ঠানগুলোকে দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগের ডিজিএম মোঃ. হারুন-অর-রশিদ স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনটি বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনে জড়িত সব অনুমোদিত ডিলার ব্যাংকে পাঠানো হয়েছে।
এ প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, আবেদনপত্রের সঙ্গে অ্যাসোসিয়েশনের সনদপত্রের বদলে ইপিবি’র সনদপত্র দাখিল করতে হবে।
বর্তমানে দেশে এপিআই উৎপাদন করছে অ্যাকটিভ ফাইন কেমিক্যালস লিমিটেড, বাংলাদেশ অ্যান্টিবায়োটিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, গণস্বাস্থ্য অ্যান্টিবায়োটিকস লিমিটেড, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, নভো হেলথ কেয়ার অ্যান্ড ফার্মা লিমিটেড, নভো হেলথ কেয়ার অ্যান্ড ফার্মা লিমিটেড ইউনিট-২, গণস্বাস্থ্য বেসিক কেমিক্যালস লিমিটেড, নিপ কেমিক্যাল অ্যান্ড ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, অপসোনিন বাল্ক ড্রাগস লিমিটেড, ফার্মাটেক কেমিক্যালস লিমিটেড, এসিআই লিমিটেড, এসকায়েফ বাংলাদেশ লিমিটেড, গ্লোবাল হেভি কেমিক্যালস লিমিটেড ও গ্লোবাল ক্যাপসুল লিমিটেড।