দুই বছর আগে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর সর্বোচ্চ আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ফ্রান্সে। শেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ১ লাখ ৭৯ হাজারের বেশি মানুষ।
শুধু ফ্রান্সেই নয় সংক্রমণের নতুন রেকর্ড হয়েছে যুক্তরাজ্য, ইতালি, গ্রিস ও পুর্তগালেও।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে করোনায় বিধ্বস্ত ইউরোপের চিত্র তুলে ধরে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের সংক্রমণ পুরো ইউরোপে ছড়িয়ে পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ফ্রান্সে করোনাভাইরাস সংক্রমণের রেকর্ডের পাশাপাশি নতুন করে মারা গেছেন ২৯০ জন।
আগেই সতর্ক করা হয়েছিল, ইউরোপজুড়ে বড় দিনের উৎসবের মৌসুমের পর ব্যাপক আকার ধারণ করবে করোনাভাইরাস। তারপর থেকেই দেশগুলোতে সংক্রমণ বাড়ছে।
ফ্রান্সের পরিস্থিতি তুলে ধরে গত সোমবারই সতর্কবার্তা দিয়ে দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী অলিভার ভেরান বলেছিলেন, জানুয়ারির শুরুর দিকে দেশটিতে দৈনিক সংক্রমণ আড়াই লাখ ছাড়িয়ে যেতে পারে।
এছাড়াও দেশটির হাসপাতালগুলোর সংগঠন ফ্রান্স হসপিটাল ফেডারেশন সতর্কবার্তা উচ্চারণ করে বলেছে, সবচেয়ে কঠিন সময় এখনো আসেনি।
করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে ফ্রান্সে নতুন নতুন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আরোপ করা হয়েছে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ।
এখন থেকে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা সপ্তাহে কমপক্ষে তিন দিন বাসায় থেকে কাজ করবেন। এছাড়া বড় জনসমাগমের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
সরকারি এক নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কেউ গণপরিবহনে খাবার খেতে বা পানীয় পান করতে পারবেন না। ঘরের বাইরে বের হলে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।