ওমিক্রনের প্রভাবে বিগত বছরের আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিন নতুন নতুন রেকর্ড তৈরি করছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৭ হাজারের বেশি মানুষ। নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা গতদিনের তুলনায় বেড়ে ছাড়িয়েছে ৩১ লাখ ৫৩ হাজার। সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে।
এতে বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৩২ কোটি ৬ লাখের ঘর। অন্যদিকে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৫৫ লাখ ৩৮ হাজার। ওয়ার্ল্ডোমিটারস সূত্রে এসব জানা গেছে।
শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) পর্যন্ত ওয়ার্ল্ডোমিটারস এর সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা কমে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাবিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৭ হাজার ২১০ জন। বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৫৫ লাখ ৩৮ হাজার ৪১৩ জনে। একই সময়ে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩১ লাখ ৫৩ হাজার ২০৪ জন। আগের দিনের তুলনায় নতুন রোগী বেড়েছে অর্ধ লক্ষাধিক। মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২ কোটি ৬ লাখ ৫৪ হাজার ৬৮ জনে।
একদিনে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে। নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৭ লাখ ৮৭ হাজার ৪১৫ জন এবং মারা গেছেন ১ হাজার ৮৮০ জন। এখন পর্যন্ত ৬ কোটি ৫২ লাখ ১৭ হাজার ৩৯৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৮ লাখ ৬৯ হাজার ১২৩ জন মারা গেছেন।
আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। তবে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যার তালিকায় দেশটির অবস্থান তৃতীয়। মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্ত ৩ কোটি ৬৫ লাখ ৭১ হাজার ৪২৩ জন এবং মারা গেছেন ৪ লাখ ৮৫ হাজার ৪৩ জন।
প্রাণহানির তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে রাশিয়া। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৭৪০ জন এবং নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ২১ হাজার ১৫৫ জন।
এক দিনে যুক্তরাজ্যে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৯ হাজার ১৩৩ জন এবং মারা গেছেন ৩৩৫ জন। মহামারির শুরু থেকে এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৪৯ লাখ ৬৭ হাজার ৮১৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৫১ হাজার ৩৪২ জন মারা গেছেন। একই সময়ে ইতালিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৮৪ হাজার ৬১৫ জন এবং মারা গেছেন ৩১৬ জন।
ইউরোপে করোনা পরিস্থিতি আবারও আগেরমতো খারাপ হচ্ছে। ফ্রান্সে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ৩ লাখ ৫ হাজার ৩২২ জন এবং মারা গেছেন ২২৫ জন। স্পেনে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৫৯ হাজার ১৬১ জন এবং মারা গেছেন ১১২ জন। জার্মানিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৯৩ হাজার ১৫৪ জন এবং মারা গেছেন ২৬১ জন।
লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৯০ জন এবং নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৯৭ হাজার ২২১ জন। অপরদিকে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ২ কোটি ২৮ লাখ ১৫ হাজার ৮২৭ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ২০ হাজার ৬০৯ জনের।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।