চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

ঐতিহ্যের অ্যাশেজে ফিক্সিংয়ের কালো ছায়া

স্পট ফিক্সিংয়ের কালো ছায়ার অভিযোগ উঠল ঐতিহ্যবাহী অ্যাশেজেও। পার্থের ওয়াকায় চলমান টেস্টই লক্ষবস্তু জুয়ারিদের। এমন দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছে অস্ট্রেলিয়াসহ পুরো ক্রিকেট বিশ্ব। ফিক্সিং হতে পারে এমন অভিযোগের তথ্য নিয়ে ‘গভীর উদ্বেগ’ জানিয়েছে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি ও ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া।

ব্রিটিশ দৈনিক দ্য সান অনুসন্ধান চালিয়ে দুই ভারতীয় জুয়ারির সাথে গোপনে আলোচনা করেছে। যেখানে সোর্বেস জোবান ও প্রিয়ানাক সাক্সেনা নামে দু’জন দাবি করেছে, জনপ্রিয় এই অ্যাশেজের পুরোটায় তারা প্রভাব বিস্তার করতে পারবে। যেমন এক ওভারে কত রান হতে পারে, সেটা নাকি বলে দিতে পারবে তারা। যেখানে চলতি পার্থ টেস্টটাকেই নাকি লক্ষবস্তু করেছে জুয়ারিরা। তবে এই রিপোর্টে নির্দিষ্ট কোনও দল বা কোনও ক্রিকেটারের নাম উল্লেখ করা হয়নি।

ক্রিকেটের এই জুয়াতে ১ লাখ ৮৭ হাজার মার্কিন ডলারের মত ব্যবহার হচ্ছে বা হয়েছে, এমনটাই উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।

সানের চার মাসের অনুসন্ধানে জানা যায়, দুই জুয়ারি গোপনে অস্ট্রেলিয়ান খেলায় একজন ‘সাইলেন্ট ম্যান’ এর সঙ্গে ম্যাচ পাতিয়ে আসছে।

ভারতীয় দুই জয়ারি

সাবেক বয়স ভিত্তিক ক্রিকেটার জোবান ও টোবাকো ব্যবসায়ী এবং জুয়ারি সাক্সেনার দাবি, ক্রিকেটারদের সঙ্গে তারা সংকেত দিয়ে কাজ করেন ফিক্সিং করতে। যেখানে তারা বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে, যেমন গ্লাভস পরিবর্তন করে থাকে।

সানের গোপন সংবাদদাতাকে জোবান বলেছে, ‘আমি অ্যাশেজে আপনাকে কাজ করে দেখাব। সেশনে রান, হয়ত প্রথম, দ্বিতীয় অথবা তৃতীয় দিনে। আমরা দুই সেশন কাজ করি, এক সেশনে খরচ পড়ে ৬০ লাখ রুপি (ভারতীয়), দুই সেশনে ১ লাখ ২০ হাজার রুপি।’

উদ্বেগ প্রকাশের পাশাপাশি বিষয়টি তদন্ত করছে আইসিসি। তবে সংস্থার দুর্নীতি বিরোধী বিভাগের জেনারেল ম্যানেজার অ্যালেক্স মার্শাল ও ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহী জেমস সাদারল্যান্ড। মার্শাল জানিয়েছেন, পার্থ টেস্টে ফিক্সিং অভিযোগের কোনও প্রমাণ বা দলিল পাননি তারা।

অ্যাশেজ

তিনি বলেন, ‘এই টেস্ট ম্যাচ পাতানোর যে খবর দ্য সান দিয়েছে, আমাদের প্রাথমিক তদন্ত শেষে তার কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। অভিযুক্ত জুয়াড়িদের সঙ্গে এই টেস্টের খেলোয়াড়দের যোগাযোগ থাকার কোনও চিহ্নও খুঁজে পাইনি আমরা।’

তবে তদন্ত এখানেই শেষ করছে না আইসিসি। তারা এ অভিযোগকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখে আরও অনুসন্ধান চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ‘দ্য সানের কাছ থেকে আমরা সংশ্লিষ্ট সব ধরনের তথ্য হাতে পেয়েছি। আইসিসির দুর্নীতিবিরোধী ইউনিট অনুসন্ধান করবে আরও।’