কক্সবাজার থেকে: পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টুয়েন্টি ও ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশ দল ১৮ সদস্যের। বৃহস্পতিবার ঐচ্ছিক অনুশীলন থাকলেও শেখ কামাল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে চলে আসেন স্কোয়াডের সবাই। রুমানা আহমেদ ছাড়া সাড়ে তিন ঘণ্টার দীর্ঘ অনুশীলন সেশনে যোগ দেন ১৭ ক্রিকেটার।
অন্যদিকে পাকিস্তান দলের মাত্র ৪ ক্রিকেটার এলেন মাঠে। ঘণ্টাখানেক অনুশীলন করেই তারা ফিরে গেছেন টিম হোটেলে। এমন চিত্রই বলে দেয় সিরিজের প্রথম ম্যাচ জিতে কতটা স্বস্তিতে পাকিস্তান, আর কতটা চ্যালেঞ্জের মুখে বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় শুরু হবে চার ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় টি-টুয়েন্টি। মাঠ ভেজা থাকায় প্রথম ম্যাচ হয়েছে পরিত্যক্ত। দ্বিতীয় ম্যাচে ৫৮ রানের হারে সিরিজে ১-০তে পিছিয়ে পড়া বাংলাদেশের সামনে এবার সিরিজে টিকে থাকার লড়াই।
আগের ম্যাচে ভুগিয়েছে ব্যাটিং। নিজেদের সর্বনিম্ন ৩০ রানে গুটিয়ে যাওয়ার হতাশা কাটিয়ে পরের ম্যাচে যেন ঘুরে দাঁড়ানো যায় সেজন্য অনুশীলনে গুরুত্ব পেল ব্যাটিং। ভারতীয় কোচিং স্টাফদের সঙ্গে যোগ হলেন নারী ক্রিকেটের দেখভালের দায়িত্বে থাকা বিকেএসপির সাবেক কোচ নাজমুল আবেদিন ফাহিমও। সাকিব-তামিম-মুশফিকদের প্রিয় এ মেন্টর নেটের পাশে দাঁড়িয়ে টাইগ্রেস ওপেনার শামীমা ও আয়শার ব্যাটিং পর্যবেক্ষণ করলেন লম্বা সময় ধরে। ভুল শট খেলতে দেখলে শুধরে দিয়েছেন। ভালো শটে দিয়েছেন উৎসাহ।
শামিমা-আয়শা জুটি বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের শক্তি। ধারাবাহিকভাবেই তারা ভালো করে আসছিলেন। কিন্তু বুধবার পাকিস্তানের বোলারদের সামনে দাঁড়াতে পারেননি তারাও। ৩ রানের মাথায় দুই ওপেনার সাজঘরে ফেরার পর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি বাংলাদেশ। নাজমুল আবেদিন জানালেন, রান না পাওয়ার নেতিবাচক প্রভাবে যেন মেয়েরা আক্রান্ত না হয় সেজন্যই তার নেটে আসা।
‘আমাদের দুই ওপেনারই ভালো স্ট্রোক করতে পারে, ভালো রেটে রান তুলতে পারে। গত এশিয়া কাপ, বিশ্বকাপ বাছাই, আয়ারল্যান্ড সিরিজেও আমরা সেটা দেখেছি। ওরা যখন ভালো খেলে তখন আমাদের দল খুব ভালো করে। মাঝেমধ্যে হয়তো খারাপ খেলে। তবে দল ফর্মে থাকলে সেটা ম্যানেজ করে ফেলতে পারে। ওপেনিং ভালো করলে আমরা বড় স্কোর করতে পারি, চেজ করতেও সুবিধা হয়।
‘শুধু সামনের ম্যাচের জন্যই না, সামনে ওরা বিশ্বকাপ খেলবে। এখন রান না পাওয়ায় ওরা যেন মানসিকভাবে ডিফেন্সিভ না হয় এবং যেভাবে খেলতে অভ্যস্ত সেভাবেই যেন খেলে সেটিই ওদের বলার চেষ্টা করছি।’