মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাংলাদেশের মাটিতে বাঁচিয়ে রাখতে হলে নৌকার জয়ের বিকল্প নেই মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছে: এ লড়াই বাঁচার লড়াই, এ লড়াইয়ে জিততে হবে। এর কোন বিকল্প নেই’।
বুধবার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একাদশ জাতীয় নির্বাচনের নির্বাচনী প্রচাররে আনুষ্ঠানিক শুরুতে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পাকিস্তান দূতাবাসের আনাগোনা করছেন। এটা কিসের ইঙ্গিত বহন করে? তাদের লন্ডনে পলাতন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন সেখানে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের সঙ্গে গোপন বৈঠক করছে। তারা আসলে কী চাইছে?
বিএনপির পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে বলে দলটির পক্ষ থেকে যে দাবি করা হচ্ছে তা সঠিক নয় দাবি করে আওয়ামী লীগের এ দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সাংগঠনিক এ নেতা বলেন: গণভোটকে গণ-জোয়ার বলছে বিএনপি। বিএনপির ভাঙা হাট আর জমছে না। আমি ঢাকা থেকে নোয়াখালী গেলাম, জোয়ার তো কোথায়ও একটা ধানের শীষের স্লোগানও শুনতে পেলাম না।
আমি এতটুকু বলতে পারি ২০০৮ সালেও নৌকার পক্ষে যে গণজোয়ার আমি দেখিনি এবার তা দেখছি। আমার নির্বাচনী আসনে বিএনপির প্রার্থী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ। তিনি এলাকায় যান না। ১৫ বছর পর তিনি এলাকায় গেলেন। ভেবেছিলেন তার যাওয়াতে হাজারে হাজারে লোক নেমে আসবে!
সেদিন শোডাউন করলেন। খবর নিয়ে জানতে পেরেছি তার সঙ্গে সর্বোচ্চ ১৫০০ থেকে ২০০০ লোক হয়েছিলো। এই তাদের গণজোয়ার! আমরা তো পথ সভা করলেও ৭০-৮০ হাজার লোক হয়ে যায়।
বিএনপি বলছে ৫০ শতাংশ সুষ্ঠু ভোট হলে তাদের জয় নিশ্চিত। আমি বলবো ১০০ শতাংশ সুষ্ঠু ভোট হবে। আর বিএনপির অবস্থা মুসলিম লীগের মতো হবে বলে যোগ করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
মওদুদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে এসময় কাদের বলেন: আমি জানতাম তার মনোনয়ন পত্রে কিছু ত্রুটি-বিচ্যুতি ছিলো। আমাদের নির্ভরযোগ্য জায়গা থেকে জানানো হয়েছিলো। আমি নিজে ব্যক্তিগতভাবে চাইনি তার মনোনয়ন বাতিল হোক৷ প্রতিপক্ষ শক্ত না হলে নির্বাচন জমবে না, নির্বাচন করে মজা নেই। কিন্তু, উনি তো জমাতেই পারছেন না।
এসময় কিছু মিডিয়ার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে এজেন্ডা নিয়ে অপপ্রচারের অভিযোগ আনেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।