২০১১ সালের পর চলতি বছরে অর্থাৎ ২০১৮ সালে বৈশ্বিক অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি সবচেয়ে বেশি হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল আইএমএফ। সংস্থাটির বৈশ্বিক অর্থনীতির আউটলুকে এ তথ্য জানানো হয়।
আউটলুকে বলা হয়, এ বছর প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৩ দশমিক ৯ শতাংশ। তবে এই সুসংবাদের পাশাপাশি সতর্কও করেছে সংস্থাটি। তারা বলেছে, ব্যবসায়িক বিভিন্ন সমস্যার কারণে ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধি সংকুচিতও হতে পারে।
যুক্তরাজ্যের প্রবৃদ্ধির বিষয়ে আইএমএফ বলেছে, এ বছর দেশটির প্রবৃদ্ধি হতে পারে ১ দশমিক ৬ শতাংশ। কিন্তু আগামী বছর দশমিক ১ শতাংশ কমে তা হতে পারে ১ দশমিক ৫ শতাংশ।
বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রবৃদ্ধি বাড়ার বিষয়ে কিছু অনিশ্চিয়তা দেখা দেয়ার কারণ হিসাবে বলা হয়েছে, বিভিন্ন কারণে আন্তর্জাতিকভাবে ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষতি হতে পারে। এক দেশের সঙ্গে অন্য দেশের সম্পর্কের অবনতি হচ্ছে। এতে ট্যারিফসহ বিভিন্ন শুল্ক বাধায় ব্যবসায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। যা আর্থিক বাজারের জন্য ক্ষতিকর। এ জন্য আন্তর্জাতিক সরবরাহ শৃঙ্খলা ভেঙ্গে পড়তে পারে। একই সঙ্গে নতুন প্রযুক্তির গতি কমিয়ে দিবে। এতে পণ্যমূল্য বাড়বে। যার প্রভাব পড়বে ভোক্তাদের ওপর।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের রপ্তানির চেয়ে আমদানি বেড়ে যাওয়া বাণিজ্য ঘাটতি বেড়েছে। দেশটির উত্তরসুরি রাষ্ট্রগুলোর সাথে বাণিজ্য চুক্তি কম হওয়ায় ঘাটতি বেড়েছে। এছাড়া বিভিন্ন দেশ যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন সুবিধা নেয়ায় এটা হয়েছে। দেশটির প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এমন আভাসই দিয়েছিলেন।
কিন্তু আইএমএফের প্রধান অর্থনীতি মরিস অবসফেল্ড তা নাকচ করে দিয়ে বলেছেন, কিছু পদক্ষেপ নিলে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতি কমে যাবে।
তিনি বলেন, এই ঘাটতির মূল কারণ হলো দেশটির আয়ের চেয়ে ব্যয় বেড়ে যাওয়া। এছাড়া সাম্প্রতিক কর ব্যবস্থাও ঘাটতি বাড়িয়েছে।
মরিস অবসফেল্ড আরও বলেন, ২০১৭ সালের অক্টোবরে প্রবৃদ্ধি বিষযে দেয়া পূর্বাভাসের তুলনায় এ বছর ইউরোপীয় অঞ্চলে, জাপানে ও যুক্তরাষ্ট্রে কিছুটা বাড়িয়ে ধরা হয়েছে।
তবে বিশ্ব বাণিজ্য বাড়াতে ওই প্রতিবেদনে রপ্তানিতে বৈচিত্র্য আনার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।