প্রশ্নফাঁসের বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে বিভিন্ন চক্র ধরার খবরে স্বস্তি এলেও আবারও অস্বস্তি হিসেবে দেখা দিয়েছে নতুন অভিযোগ। এবার অভিযোগ দেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যলয়ের ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে । শুক্রবার ঢাবির সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
চ্যানেল আই অনলাইনের প্রতিবেদনে জানা যায়, ‘পরীক্ষা শুরুর ৪৩ মিনিট আগে শিক্ষার্থীদের মোবাইলে হাতে লেখা প্রশ্নপত্র ছড়িয়ে পড়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে। শুক্রবার সকালে পরীক্ষা শুরুর আগে উত্তরসহ প্রশ্নপত্র শিক্ষার্থীদের মোবাইলে আসে। পরীক্ষা শেষে অনুষ্ঠিতব্য প্রশ্নের সঙ্গে ফাঁস হওয়া প্রশ্নের হুবহু মিলও পাওয়া গেছে।’
এ বিষয়ে ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার সমন্বয়কারী ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক সাদেকা হালিম সাংবাদিকদের বলেন: ‘সর্বোচ্চ নজরদারির মধ্যে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রশ্নফাঁসের কোনো ভিত্তি নেই। আমরা এমন কোনো অভিযোগ পাইনি।’
দেশের ঐতিহ্যবাহী এ প্রতিষ্ঠানের সুনাম রক্ষায় ভর্তি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নজরদারির খবরে আমরা আশ্বস্ত হতে চাই। কিন্তু বিষয়টিকে এভাবে উড়িয়ে না দিয়ে বরং এ বিষয়ে আরও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি বলে আমরা মনে করি।
ডিজিটাল প্রযুক্তির এই যুগে প্রশ্নফাঁসসহ এ ধরনের নানা অপরাধ নির্মূল করা অনেক চ্যালেঞ্জের সেটা আমরা বুঝি। তবে অপরাধীদের কৌশলের সঙ্গে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণে সংশ্লিষ্টদের আরও সতর্ক হতে হবে। অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে সরকারের বিভিন্ন সংস্থার সাথে আরও কার্যকর সমন্বয় করা যেতে পারে। প্রশ্নফাঁসের বিরুদ্ধে গত এইচএসসি পরীক্ষায় যে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিল, ঠিক তেমন ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে প্রশ্নফাঁস আবারও মহামারী আকার ধারণ করতে পারে বলে আমাদের শঙ্কা। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে উদ্যোগী হতে আমরা আহ্বান জানাচ্ছি।