এসএসসিতে অতিরিক্ত ফি নেয়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর তালিকা এখন মন্ত্রণালয়ের হাতে। যাচাই বাছাই করে এসব প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে মন্ত্রণালয়। আর যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এখন পর্যন্ত তালিকা জমা দেয়নি তাদের মধ্যে কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আবেদন করে সময় বাড়িয়ে নিয়েছে।
শিক্ষা বোর্ডের নিজস্ব তদন্তেই বলা হয়েছে, সারা দেশের আড়াই হাজারেরও বেশি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত কয়েক কোটি টাকা আদায় করেছে। প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে চিহ্নিত ওই প্রতিষ্ঠানগুলোর তালিকা শিক্ষা বোর্ডগুলোর কাছে পাঠানো হয়।
ঢাকার বেশ কয়েকটি স্কুলের অভিভাবকরা অতিরিক্ত অর্থ নেয়ার প্রতিবাদে কর্মসূচী পালন করে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় টাকা ফেরত দিতে স্কুলগুলোকে ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চুড়ান্ত সময় বেঁধে দেয়।
সেসময় শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, অবিলম্বে সেই টাকা ফেরত দিয়ে বোর্ডকে অবহিত করবেন, যাতে আমরা জানতে পারি যে এসমস্ত প্রতিষ্ঠান আর অভিযুক্তের তালিকায় থাকবে না। সাতদিনের মধ্যে টাকা ফেরত দিয়ে বোর্ডকে অবহিত করবেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব চৌধুরী মুফাদ আহমদ বলেছেন, সবগুলো শিক্ষা বোর্ডের তালিকা মন্ত্রণালয়ের হাতে। বেশ কয়েকটি স্কুল অর্থ ফেরত দিয়েছে। যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অতিরিক্ত অর্থ নেয়নি বলে দাবি করেছে তাদের নিয়েও তদন্ত চলছে। ঢাকা শিক্ষা বোর্ড বলছে, একটি ছাড়া বাকি ১৭ জেলার তালিকা মন্ত্রণালয় পেয়েছে। এবার এসএসসিতে ফরম পূরণের জন্য বিজ্ঞান শাখায় ১হাজার ৪শ’৫৫ টাকা এবং মানবিক ও বণিজ্য শাখায় ১হাজার ৩শ’৫৫ টাকা নেওয়ার নিয়ম থাকলেও সাড়ে ৫ হাজার থেকে সাড়ে ৮ হাজার টাকা করে নিয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো।
সরকারের একটি সংস্থা বলেছে, ১০টি শিক্ষা বোর্ডের ১৬ লাখ এসএসসি পরীক্ষার্থী কাছ থেকে যদি এক হাজার টাকা করেও অতিরিক্ত অর্থ নেওয়া হয় তাহলে প্রায় ১৬ কোটি টাকা বাড়তি নিয়েছে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। অতিরিক্ত অর্থ অভিভাবকদের ফিরিয়ে দিতে ১৭ জানুয়ারি ২৮ জন শিক্ষাবিদ ও বুদ্ধিজীবী শিক্ষামন্ত্রীর কাছে যৌথ বিবৃতি দেন।