এসএমই ক্লাস্টারের ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা এবং সারাদেশের নারী উদ্যোক্তাদের বেসরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠান মাইডাস ফাইন্যান্সিং-এর মাধ্যমে ১৫ কোটি টাকা ঋণ দেবে এসএমই ফাউন্ডেশন। এই ঋণের বিপরীতে সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ সুদ দিতে গ্রাহকদের।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পুনঃঅর্থায়ন কর্মসূচীর আওতায় এসএমই ফাউন্ডেশনের ক্রেডিট হোলসেলিং কর্মসূচী সম্প্রসারণের লক্ষ্যে মাইডাস ফাইন্যান্সিং-এর সাথে আলাদা ২টি চু্ক্তি সই করে এসএমই ফাউন্ডেশন।
বৃহস্পতিবার এসএমই ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সফিকুল ইসলাম এবং মাইডাস ফাইন্যান্সিং-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুস্তাফিজুর রহমান এই চুক্তি সই করেন।
চুক্তি অনুযায়ী আগামী ৫ বছরে সারাদেশের উৎপাদন সেবা খাতের নারী উদ্যোক্তারা পাবেন ১০ কোটি টাকা এবং বগুড়া লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং ক্লাস্টারের উদ্যোক্তারা ঋণ পাবেন ৫ কোটি টাকা। প্রত্যেক উদ্যোক্তা সর্বনিম্ন ১ লাখ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকা পর্যন্ত জামানতবিহীন ঋণ নিতে পারবেন।
চলতি মূলধন, মূলধনী যন্ত্রপাতি ক্রয়, টেকনোলজি উন্নয়ন ও সিজনাল এই ঋণের মেয়াদ ৩ বছর।
এখন পর্যন্ত ৭টি চুক্তির আওতায় মাইডাস ফাইন্যান্সিং ঢাকার ধোলাইখাল ও বগুড়া লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং ক্লাস্টার এবং তরুণ ২১১ উদ্যোক্তাকে ১০ কোটি ৬৬ লাখ টাকা ঋণ দিয়েছে এসএমই ফাউন্ডেশন।
সম্প্রতি এসএমই ফাউন্ডেশনের ক্রেডিট হোলসেলিং প্রোগ্রাম সম্প্রসারণের লক্ষ্যে এসএমই ফাউন্ডেশনের অনুকূলে ৫০ কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন তহবিল অনুমোদন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক এবং এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক এবং এসএমই ফাউন্ডেশনের মধ্যে চুক্তিনামা স্বাক্ষর করা হয়েছে।
গত ১১ বছরে এসএমই ফাউন্ডেশনের ক্রেডিট হোলসেলিং প্রোগ্রামের আওতায় দেশের বিভিন্ন এলাকায় অবস্থিত ৩১টি ক্লাস্টার ও ক্লায়েন্টেল গ্রুপের ১৮৫৭ উদ্যোক্তাকে ১২টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ৯২ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে এসএমই ফাউন্ডেশন।
এর মধ্যে ১৩শ ৪৫ জন পুরুষ উদ্যোক্তা এবং বাকি ৫১২ জন নারী উদ্যোক্তা। যে ১০টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ঋণ বিতরণ করা হয় সেগুলো হলো, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, এনসিসি ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক, ট্রাস্ট ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, ঢাকা ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, এনআরবি ব্যাংক, ইউনাইটেড কমার্সিয়াল ব্যাংক, সাউথইস্ট ব্যাংক আর ২টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান হলো মাইডাস ফাইন্যান্সিং ও আইডিএলসি ফাইন্যান্স।