২০২২ বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব ছোট কাতারের কাঁধে। তার আগে এশিয়া ফুটবলে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করে ফুটবল মানচিত্রে নিজেদের অবস্থান মজবুত করেছে মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটি। জাপানকে হারিয়ে সপ্তদশ এশিয়ান কাপ চ্যাম্পিয়ন হল আগামী বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ। শুক্রবার আবু ধাবিতে জাপানকে ৩-১ গোলে হারিয়ে প্রথমবারের জন্য এশিয়া সেরা হয় কাতার।
চারবারের এশিয়া সেরা জাপানের বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছিল কাতার। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ৪৩ ধাপ পিছিয়ে থেকেও প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পথে ইয়োশিদা, নাগামোতোদের টেক্কা দিয়েছেন আলমোয়েজ আলি, আকরাম হাসানরা।
শীর্ষে থেকে গ্রুপপর্ব শেষ করা দুই দলই পুরো টুর্নামেন্টে ছিল অপ্রতিরোধ্য। পঞ্চমবার এশিয়া সেরার লক্ষ্যে ভিয়েতনামকে শেষ চারের লড়াইয়ে একমাত্র গোলে হারায় সামুরাই ব্লু ব্রিগেড। অন্যদিকে আয়োজক সংযুক্ত আরব আমিররাতকে ৪-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করে ২০২২ বিশ্বকাপ ফুটবলের আয়োজকরা।
তবে হাইভোল্টেজ ফাইনালে এদিন শুরু থেকেই পিছু হটতে থাকে জাপান। ম্যাচের ১২ মিনিটে টুর্নামেন্টের নবম গোল করে নজির গড়েন কাতারের আলমোয়েজ আলি। ১৯৯৬ এশিয়া সেরার টুর্নামেন্টে ইরানের আলি দায়েইয়ের করা আট গোলের রেকর্ড ভেঙে নতুন নজির স্থাপন করেন কাতারের এই স্ট্রাইকার। আকরাম হাসান আফিফের ক্রস নিজের দখলে নিয়ে বক্সের মধ্যে বাইসাইকেল কিকে বল জালে জড়িয়ে দেন আলি।
২৭ মিনিটে সামুরাই ব্লু ব্রিগেডকে আবার পেছনে ফেলে ফাইনালে আরও একবার এগিয়ে যায় কাতার। দ্বিতীয়বারের জন্য দলকে এগিয়ে দেন আবদেল আজিজ হাতিম। বিরতির পর ম্যাচে ফিরে আসে জাপান। ৬৯ মিনিটে তাওকামি মিনামিনোর গোলে ম্যাচে ব্যবধান কমায় সূর্য উদয়ের দেশ। ফাইনালে এসে টুর্নামেন্টের প্রথম গোল হজম করে ফেলিক্স সানচেজের দল।
কিন্তু ৮৩ মিনিটে বক্সের মধ্যে হ্যান্ডবল করে জাপানের হার নিশ্চিত করেন অধিনায়ক ইয়োশিদা। ভিএআরের সাহায্য নিয়ে রেফারি কাতারকে পেনাল্টি দিকে স্পটকিক থেকে গোল করতে কোনওরকম ভুল করেননি আকরাম হাসান আফিফ। আর তৃতীয় গোলের সাথে সাথেই প্রথমবার কাতারের এশিয়া সেরার খেতাব নিশ্চিত হয় কাতারের।
গ্রুপ পর্বের দ্বিতীয় ম্যাচে সাউথ কোরিয়াকে ৬-০ গোলে হারায় কাতার। ওই ম্যাচে একাই চার গোল করেছিলেন নতুন রেকর্ডের মালিক আলমোয়েজ আলি। সাত ম্যাচে ১৯ গোলে টুর্নামেন্ট শেষ করে কাতার।