চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

এশিয়া কাপের জায়গায় আইপিএল, মানবে না পাকিস্তান

এশিয়া কাপের সূচির জায়গায় যদি আইপিএল আয়োজন করা হয় তাহলে কঠিন বাধা দেবে পাকিস্তান, এমন হুঁশিয়ারিই দিয়েছেন দেশটির ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী ওয়াসিম খান। বলেছেন, কেবলমাত্র জনস্বাস্থ্যের ঝুঁকি থাকলেই সূচি বদল মেনে নেয়া হবে, নইলে নয়!

‘আমাদের অবস্থান পরিষ্কার, সেপ্টেম্বরে এশিয়া কাপ আয়োজন হবে। কেবলমাত্র স্বাস্থ্য ঝুঁকি থাকলেই সূচি বদল সম্ভব। এশিয়া কাপের জায়গায় আইপিএল আয়োজন কোনোভাবেই মেনে নেয়া হবে না।’ এমনই বলেছেন ওয়াসিম।

‘আমি শুনেছি যে, এশিয়া কাপ নভেম্বর-ডিসেম্বরে পিছিয়ে দেয়া হতে পারে। কিন্তু আমাদের জন্য সেটা সম্ভব না। যদি কেবলমাত্র একটা দেশের জন্য আয়োজন পেছাতে হয়, আমরা তাতে কোনভাবেই সমর্থন দিতে পারি না।’

ওয়াসিম জানিয়েছেন, নভেম্বর-ডিসেম্বরে জিম্বাবুয়েকে আতিথ্য দেয়ার পর নিউজিল্যান্ড সফরে যাবে পাকিস্তান। সুতরাং, তাদের পক্ষে সেসময়ে এশিয়া কাপে খেলা সম্ভব না।

করোনাভাইরাসের কারণে অনির্দিষ্টকালের জন্য পিছিয়ে দেয়া হয়েছে এবারের ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল)। বছরের শেষদিকে অবস্থা ভালো হলে সেই আয়োজনটা সম্পন্ন করতে চায় বিসিসিআই। ওয়াসিম জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবারের সভায় ভারত এ বিষয়ে কোনো আলোচনাই তোলেনি।

অক্টোবরে হওয়ার কথা টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ। আয়োজক অস্ট্রেলিয়া একাধিক বিকল্পের কথা তুললেও টুর্নামেন্ট পিছিয়ে দেয়া কিংবা অন্যদেশে সরিয়ে নেয়ার ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্তের কথা তোলেনি জানিয়েছেন ওয়াসিম।

‘খুব সম্ভবত টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ দর্শকহীনভাবে আয়োজন হতে পারে। কারণ আমরা যদি সেই আসরে না খেলি তাহলে একেকটি দেশের দেড় থেকে দুই কোটি ডলার ক্ষতি হবে।’

বিশ্বকাপের ব্যাপারে প্রতি মাসে সবাইকে বিস্তারিত জানিয়ে দেবে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। তবে সবকিছুর পর সামাজিক দূরত্ব ও ভ্রমণ সংক্রান্ত নির্দেশনার ব্যাপারে সরকারের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হবে বলে জানিয়েছে দেশটি।

টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে মত পড়েছে বলেও জানিয়েছেন ওয়াসিম, ‘কিছু দেশ চায় টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ বাতিল হোক। কিছু দেশ আবার তা চায় না। তবে সবাই রাজী হয়েছে যে, আগামী কয়েকমাস সবশেষ অবস্থা পর্যালোচনা করার পর টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ হবে।’