আগের দিন চীনের বিপক্ষে দারুণ এক জয়ে নিশ্চিত হয়েছিল ছয় নম্বরে থেকে সামনের এশিয়া কাপ খেলা। শুক্রবার জাপানের বিপক্ষে ৩-০ গোলে হেরেও এশিয়া কাপে সরাসরি খেলার সেই সুযোগকে প্রাপ্তি মনে করছে বাংলাদেশ হকি দল।
জাপানকে হারাতে পারলে ঘরের মাঠে এশিয়া কাপে পঞ্চম হতো বাংলাদেশ। সেটা না হওয়াও খুব একটা অখুশি নন অধিনায়ক জিমি। ষষ্ঠ স্থানটা তাদের লক্ষ্যেই ছিল বলে ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন তিনি।
মওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামে প্রথম কোয়ার্টারে জাপানকে গোল বঞ্চিত করে রেখেছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় কোয়ার্টার থেকেই ভেঙে পড়ে সব প্রতিরোধ। পেনাল্টি কর্নার থেকে ১৭ মিনিটে জাপানকে এগিয়ে দেন সোতা ইয়ামাদা।
আগের ম্যাচে দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়ানো বাংলাদেশের লড়াকু মনোভাব এদিন পুরোপুরি অনুপস্থিত ছিল। তৃতীয় কোয়ার্টারে গোলশূন্য থাকলেও শেষ কোয়ার্টারে টুর্নামেন্টের পুরনো ভুত ঘাড়ে চাপে বাংলাদেশ রক্ষণে। ৪৬ মিনিটে কেনজি কিটাজিটোর ফিল্ড গোলের তিন মিনিট পরেই জাপানকে ৩-০তে এগিয়ে নেন কাজুমা মুরাতা। ৫৩ মিনিটে সেরেন তানাকার ফিল্ড গোলে বাংলাদেশের জালে এক হালি গোল পূর্ণ করার পাশাপাশি নিজেদের পঞ্চম স্থান নিশ্চিত করে জাপান।
২৪ ঘণ্টার কম ব্যবধানে আরেকটি ম্যাচ খেলতে নেমে হারার পেছনে সময়মত পরিকল্পনা করতে না পারাকে দুষছেন অধিনায়ক জিমি।
‘শেষ কয়েকটা এশিয়া কাপে আমরা কেবল সপ্তম-অষ্টমই হয়েছি। এবার আমাদের লক্ষ্য ছিল ষষ্ঠ হওয়া। তাই হতে পেরেছি। এত অল্প সময়ে আরেকটা ম্যাচ খেলতে নেমেছি। একটু ক্লান্ত ছিলাম। তবে এটা কোনও কারণ হতে পারে না। আরেকটা দিন সময় পেলে আমরা আরেকটু ভালো পরিকল্পনা করতে পারতাম।’
ষষ্ঠ হওয়ার পাশাপাশি আগামী এশিয়া কাপ এবং এশিয়ান গেমসে সরাসরি খেলা নিশ্চিত হয়েছে বাংলাদেশের। এমন প্রাপ্তিকেও অনেক বড় বলে মানছেন জিমি, ‘আমাদের সঙ্গে বড় দলগুলো খেলতে গেলে আগে র্যাঙ্কিং দেখে। এশিয়া গেমসে সামনে সরাসরি খেলতে পারবো। বড় দলগুলো এবার আমাদের সঙ্গে খেলতে চাইবে। আমরা সিরিজ খেলতে পারবো।’