দেশ ও ক্লাবের হয়ে ৫০টি হ্যাটট্রিক। সেভিয়ার বিরুদ্ধে দু’বার পিছিয়ে পড়েও জয়। লা লিগায় এই প্রতিপক্ষের জালেই সবচেয়ে বেশি ৩৬ বার বল জড়ানো।
গত শনিবার রাতের মেসি-ম্যাজিকে দেখা যায় এই সব দৃশ্যই। আর এই তিন ঘটনাই বার্সেলোনার প্রত্যাশা আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। স্বয়ং অধিনায়ক লিওনেল মেসিই ভাসছেন সেই প্রত্যাশার ঢেউয়ে। এলএম টেন বলেছেন, ‘আমরা এবার সব ট্রফি জিততে চাই।’
কিছু দিন আগে মেসির বন্ধু সার্জিও আগুয়েরো একই কথা বলেছিলেন। ম্যানচেস্টার সিটির আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডের মতো এবার মেসিও সব টুর্নামেন্টে জেতার কথা বলছেন।
নিজের মন্তব্যের ব্যাখ্যায় মেসি বলেছেন, ‘এখনো মৌসুমের অনেক পথ বাকি। কিন্তু এই ম্যাচটা জেতা খুব দরকার ছিল। অন্য দলের সঙ্গে পয়েন্টের ফারাক বাড়ানোর জন্য। আমাদের সামনে আরো বড় কিছু ম্যাচ আছে। ক্রমশ আারো কঠিন হচ্ছে ম্যাচগুলো।’
কঠিন যে হচ্ছে সেভিয়া ম্যাচে টের পেয়েছে বার্সেলোনা। দু’বার পিছিয়ে পড়তে হয়েছিল। তার উপর এত দিন লুইস সুয়ারেজও ফর্মে ছিলেন না। এই ম্যাচের ইনজুরি টাইমে গোল করলেও সুয়ারেজ যে ফর্মে ফিরেছেন, তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। ডিফেন্সেও মাঝেমাঝে খেই হারিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটছে।
তার মধ্যেই হাজির জোড়া এল ক্ল্যাসিকো। এই সপ্তাহকে স্পেনে বলা হচ্ছে ক্ল্যাসিকো সপ্তাহ। বুধবার রাতে কোপা ডেল রে’র সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে মুখোমুখি রিয়াল মাদ্রিদ-বার্সেলোনা। আবার শনিবার লা লিগার ম্যাচে এল ক্ল্যাসিকো। দুটোই আবার সান্টিয়াগো বার্নাব্যুতে।
মেসির কথায়, ‘আমরা কোনো টুর্নামেন্টকেই ছেড়ে দিচ্ছি না। কোপা ডেল রে’র ফাইনালে ওঠা থেকে মাত্র এক ম্যাচ দূরে। তবে রিয়াল মাদ্রিদের বিরুদ্ধে তাদের স্টেডিয়ামেই খেলতে হবে। খুব কঠিন ম্যাচ।’
তবে বেশ আত্মবিশ্বাসী শুনাচ্ছে মেসির গলা। তার মন্তব্য, ‘আমরা বার্নাব্যুতে জেতার জন্যই যাব। আমরা আত্মবিশ্বাসী যে আমরা সেটা করতে পারব। তারপর আমরা লিগ নিয়ে ভাবব। আমরা সব কিছুই জেতার চেষ্টা করব।’
মেসির পারফরম্যান্স দেখে উত্তেজিত গ্যারি লিনেকার। ইংলিশ কিংবদন্তি সরাসরি বলেছেন, ‘লোকে সব সময় রোনালদোর গোল করার দক্ষতার কথা বলে। আমি তাদের বলি, আপনি কি মেসিকে পাস করতে দেখেছেন? ড্রিবল করতে দেখেছেন? অলরাউন্ড দক্ষতার জন্যই আমি মেসিকে ভালোবাসি। ফর্মে না থাকার দিনেও মেসি এমন দু-তিনটে কাজ করবে, যা চমকে দেবে। এ জন্যই রোনালদোর সঙ্গে মেসির তুলনা হয় না।’