গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন হত্যাকারীদের দ্রুত খুঁজে বের করে শাস্তি নিশ্চিত করতে প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রংপুর বিভাগে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি ছাত্র সমাজকে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ মুক্ত রাখতে শিক্ষক অভিভাবকদের সচেতন হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
এসময় প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, কয়েকদিন আগে আমাদের গাইবান্ধায় একজন নির্বাচিত সংসদ সদস্য যে এই জামায়াত-শিবিরের অত্যাচার-নির্যাতনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াত, মানুষকে সবসময় নিরাপত্তা দিত, তাকেই নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। নির্বাচিত সংসদ সদস্যকে এভাবে হত্যা করা, এটা কখনই মেনে নেয়া যায় না। এদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। আমরা আইন-শৃংখলা রক্ষাকারি বাহিনীকে ইতোমধ্যেই নির্দেশ দিয়েছি- যারা এরসঙ্গে জড়িত, যে কোনোভাবে তাদেরকে (আততায়ীদের) খুঁজে বের করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী এ সময় ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত গাইবান্ধার পুলিশ সুপারের কাছে লিটন, গাইবান্ধায় পুলিশ হত্যাসহ বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস ও মানুষ পুড়িয়ে হত্যাকাণ্ডের মামলাগুলোর আসামী গ্রেফতার এবং তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চান।
প্রধানমন্ত্রী ২০১৩ সালের মামলা ও দ্রুতবিচার আইনে নিষ্পত্তি হয়ে অদ্যাবধি অপরাধীদের সাজা না হওয়ায় উষ্মা প্রকাশ করেন। তিনি দ্রুত এই সকল মামলার চার্জশিট প্রদান এবং আসামীদের গ্রেফতারে আইন শৃংখলা রক্ষাকারি বাহিনীকে তৎপর হবার নির্দেশ দেন।
গত শনিবার সন্ধ্যায় মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন নিজ বাড়িতে দুর্বৃত্তের গুলিতে গুরুতর আহত হন। পরে তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, ছোট অস্ত্র দিয়ে খুব কাছে থেকে গুলি করা হয় লিটনকে।
ঘটনার পর সন্দেহভাজন ১৮ জনকে আটক করে পুলিশ। এরপর লিটনের বোন তাহমিদা বুলবুল বাদি হয়ে অজ্ঞাত ৫ ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করেন।
তিন বছর আগে এমপি লিটনকে জামায়াত-শিবির হত্যার চেষ্টা করেছিল বলে দাবি করেছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা। তবে দলীয় কোন্দলের কারণে গত কয়েকদিন ধরেই লিটনের বাসায় নেতাকর্মীদের যাতায়াত কমে গিয়েছিল।
https://www.youtube.com/watch?v=NZrg2h_GLbg