চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

এমপি লিটনকে হত্যায় প্রধানমন্ত্রীর তীব্র নিন্দা

সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের হত্যার তীব্র নিন্দা ও গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গাইবান্ধার-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের সরকার দলীয় এই সাংসদকে আজ নিজ বাসায় গুলি করে দুর্বৃত্তরা। আহত অবস্থায় রংপুর মেডিকেলে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

প্রধানমন্ত্রী অবিলম্বে এমপি লিটনের খুনিদের খুঁজে বের করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য নির্দেশ দেন এবং স্থানীয় জনগণকে ধৈর্য্য ধরার আহ্বান জানান। শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন ও তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রেস সচিব স্বাক্ষরিত শোক বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশ যখন উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে তখন একটি মহল দেশে অরাজক পরিস্থিতি তৈরি করে স্বার্থ হাসিলের অপচেষ্টা চালাচ্ছে। হত্যা ও সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছে যা কোনভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। তাদের হত্যার রাজনীতির পথ ধরেই তারা নির্বাচিত সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনকে হত্যা করেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এছাড়া আজ খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক জেড এ মাহমুদকে হত্যার জন্য গুলি করা হয়েছে, গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে একজন পথচারী নিহত হন।

আজ (শনিবার) সন্ধ্যা পৌনে ছয়টার দিকে সুন্দরগঞ্জের বামনডাঙ্গার নিজ বাড়িতে দুর্বৃত্তরা এমপি লিটনকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। আহত অবস্থায় তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হলে সাড়ে সাতটার দিকে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে জানা গেছে: সন্ধ্যা পৌনে ছয়টার দিকে তিন যুবক মোটরসাইকেল যোগে এমপি লিটনের বামনডাঙ্গার বাড়িতে আসে। এসময় তিনি বৈঠকখানায় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা  বলছিলেন।

দুই যুবক বাসার ভেতরে ঢুকে এমপি লিটনকে লক্ষ্য করে পাঁচ রাউন্ড গুলি ছুড়লে তিনি আহত অবস্থায় পড়ে যান। তারা বুকে ও হাতে দু’টা করে গুলিবিদ্ধ হয়। এর পরপরই দুর্বৃত্তরা দ্রুত বৈঠকখানা থেকে বের হয়ে মোটরসাইকেলে করে পালিয়ে যায়।

তবে কে বা কারা এই গুলি চালিয়েছে তা এখনো জানতে পারেনি পুলিশ।

এর আগে শিশু শাহাদাত হোসেন সৌরভকে গুলি করার ঘটনায় সমালোচিত হন এমপি লিটন।  ২০১৫ সালের ২ অক্টোবর গাইবান্ধা-১ আসনের সংসদ সদস্য লিটনের ছোড়া গুলিতে শাহাদাত হোসেন সৌরভ নামে নয় বছর বয়সী ওই শিশু আহত হয়। দুই পায়ে তিনটি গুলির ক্ষত নিয়ে দীর্ঘদিন তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়।

শিশুটির বাবা সাজু মিয়া ঘটনার পরদিনই সাংসদ লিটনকে আসামি করে সুন্দরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

এছাড়া গুলির ঘটনার পর সর্বানন্দ ইউনিয়নের উত্তর শাহাবাজ গ্রামে লিটনের লোকজনের হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগে আরেকটি মামলা করেন হাফিজার মণ্ডল নামের এক ব্যক্তি। এ মামলায় আসামি করা হয় দশজনকে।