ভূমি থেকে নয়, এবার সমুদ্রের নিচ থেকে একটি নতুন ধরনের ব্যালিস্টিক মিসাইল উৎক্ষেপণের দাবি করেছে নর্থ কোরিয়া।
চলতি বছর দেশটির সর্বশেষ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা ছিল মে মাসে। ওই সময় কয়েকটি স্বল্প পাল্লার মিসাইল ছুড়ে পরীক্ষা চালিয়েছিল নর্থ। সেখান থেকে এক লাফে শুধু দূরপাল্লা নয়, সরাসরি সাগরতল থেকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করল দেশটি।
পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম নতুন এই মিসাইলটি নর্থ কোরিয়ার এ বছরের ১১তম ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা।
সাগরের তলদেশে স্থাপিত একটি প্ল্যাটফর্ম থেকে উৎক্ষিপ্ত এই মিসাইল পানির নিচে সাবমেরিন বা ডুবোযান থেকেও ছোড়া সম্ভব বলে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ।
প্রযুক্তির এই উন্নয়নকে অনেক গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা। কেননা, নতুন এই পরীক্ষায় সাফল্যের অর্থ হলো, এখন থেকে নিজ দেশের সীমানার বাইরে অনেক দূরে গিয়েও মিসাইল ছুড়তে পারবে নর্থ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী।
সাউথ কোরিয়ার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বুধবার স্থানীয় সময় সকাল ৭টার একটু পর মিসাইলটি উৎক্ষেপণের পর সর্বোচ্চ ৯১০ কিলোমিটার বেগে প্রায় সাড়ে ৪শ’ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে জাপান সাগরে পড়েছে। এর অর্থ হলো, ক্ষেপণাস্ত্রটি আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের অবস্থানের চেয়েও বেশি উঁচুতে পৌঁছেছিল।
অন্যদিকে জাপান জানিয়েছে, মিসাইলটি জাপানের সীমানার ২শ’ কিলোমিটারের মধ্যে পতিত হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পারমাণবিক নিরস্ত্রিকরণ নিয়ে আলোচনা আবারও শুরু করার ঘোষণা দেয়ার কয়েক ঘণ্টা পরই নতুন এই পরীক্ষা চালালো নর্থ কোরিয়া।