রাজবাড়িতে কাঠ দিয়ে পিটিয়ে, ঘুষি মেরে অণ্ডকোষ ফাটিয়ে হত্যা করা হয়েছে ১৫ বছরের এক কিশোরকে। নির্মম অত্যাচার ও অমানবিক নির্যাতনে মৃত্যু হওয়া কিশোরের নাম মিজু শেখ।
নির্যাতনের পর আহত ছেলেটিকে ১৫দিন আটকে রাখা হয় । অবশেষে মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হলে তার মৃত্যু হয়। রাজবাড়ির পাংশা উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত মিজু উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের রামকোল গ্রামের মৃত মুসা শেখের ছেলে। বাবা-মা হারা কিশোরটির একমাত্র স্বজন তার নানী জবেদা বেগম (৪৮)।
পাংশা উপজেলার মাছপাড়া ইউনিয়নের নেভা এনায়েতপুর গ্রামের আফতাবের ছেলে আজাদের বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ করতো মিজু। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ১৫/১৬ দিন আগে মিজুকে নির্মমভাবে পিটিয়ে জখম করেন আজাদ ও তার সহযোগী জয়নাল । এরপর অসুস্থ মিজুর কোনো চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়নি। বরং তাকে একটি ঘরে আটকে রাখা হয়।
অবস্থার অবনতি হলে মুমূর্ষু অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ৮টার দিকে মিজুকে পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। একই দিন রাত সাড়ে ৩টার দিকে তার মৃত্যু হয়। তবে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত মিজুর মরদেহ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিছানাতেই পড়েছিলো।
মিজুর নানী জবেদা বেগম জানান, মিজুর বাবা-মা দু’জনই মৃত। মিজুর বয়স ১৫ বছর। কিন্তু হাসপাতালে ভর্তির খাতায় মিজুর বয়স লেখা হয়েছে ২০ বছর। মিজু গত রমজান মাসে আজাদের বাড়িতে কাজ নেয়। তার হত্যাকারীদের শাস্তি দাবি করেন তিনি।
পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তথ্য অনুযায়ী, মিজুকে হাসপাতালে যখন নিয়ে আসা হয় তখন তার শরীরের নিচের অংশের মাংসে ঘা হয়ে গিয়েছিলো। তার অণ্ডকোষ প্রচণ্ড আঘাতের মাধ্যমে ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছিলো। ধারণা করা হচ্ছে হাসপাতালে আনার ১৪/১৫ দিন আগেই মিজুকে নির্যাতন করা হয়েছে। তার অণ্ডকোষে আঘাত করা হয়েছে। তার উরুর বিভিন্ন স্থানে ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে। এতে রক্ত বিষাক্ত হয়ে পড়ায় তার মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে।