ফেনী শহরের সুলতানপুরে ফেনী-বিলোনিয়া পরিত্যক্ত রেললাইনের পাশে বাঁশঝাড়ে পরিত্যক্ত অবস্থায় নবজাতকে উদ্ধার করেছে এলাকাবাসী।
রোববার রাত ৮টায় শিশুটির কান্নার শব্দ শুনে লোকজন এগিয়ে আসে। এসময় এলাকার অনেক লোকজন ভিড় জমালেও নবজাতকটির দাবিদার কাউকে পাওয়া যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, পার্শ্ববর্তী আলম মিয়ার বাড়ির রিকশাচালক মো: ফারুকের স্ত্রী বিবি নাসিমা শিশুটিকে তার বাসায় নিয়ে যায়। ফেলে যাওয়া নবজাতকটি কন্যা শিশু। তার বয়স ৭-১০ দিন হবে।
পরে সাংবাদিক ও স্থানীয় এলাবাসীর সহযোগিতায় রাত ১১টায় নবজাতকটিকে ২৫০ শয্যার জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত মেডিকেল অফিসার ডা. মোহাম্মদ নাজমুল হাসান নবজাতকটিকে পরীক্ষা করেন এবং সুস্থ রয়েছে বলে জানান।
রাতেই ফেনীর সিভিল সার্জন ডা. হাসান শাহরিয়ার কবির ও আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. অসিম কুমার সাহর সহযোগিতায় শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করা হয়।
নবজাতকটি বর্তমানে ২৫০ শর্যার ফেনী জেলা হাসপাতালের চতুর্থ তলায় ৪০১ নং ভিআইপি কেবিনে রয়েছে।
নবজাতকটি ‘উই ক্যান চেঞ্জ ইয়ুথ সোসাইটি’র স্বেচ্ছাসেবক মনজিলা আক্তার মিমি ও উদ্ধারকারী বিবি নাসিমার নিবিড় তত্ত্বাবধানে রয়েছে। মিমি বলেন, ‘আমি চাই শিশুটি তার আপন বাবা-মায়ের কাছে ফিরে যাক অথবা সক্ষম অভিভাবকের কাছে তাকে তুলে দেওয়া হোক।’
উল্লেখ্য, গত বছর ২১ ডিসেম্বর ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালের সিঁড়ির নিচ থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় ২ মাসের ঠোঁটকাটা-তালু ফাটা একটি শিশু উদ্ধার হয়েছিল। তখন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ শিশুটিকে তাদের হেফাজতে নেয়।
পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কভিত্তিক ‘স্মাইল ট্রেন’ শিশুটিকে ঢাকায় নিয়ে ঠোঁটের অপারেশন করায়। শিশুটি সুস্থ হলে আইনগতভাবে সক্ষম এক সাংবাদিক দম্পতির কাছে শিশুটিকে দত্তক দেওয়া হয়।