চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

এবার ওয়ানডে মিশনে বাংলাদেশ

টেস্টে এসেছে প্রত্যাশিত জয়। এবার রঙিন পোশাক গায়ে জড়ানোর পালা টাইগারদের। জিম্বাবুয়ে সফরে থাকা বাংলাদেশ ১৬ জুলাই হারারেতে খেলবে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডে। শুরু হয়ে গেছে সাদা বলের প্রস্তুতিও।

তিন সংস্করণে খেলতে যাওয়া বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ওয়ানডে সিরিজ। কেননা এটি ওয়ানডে সুপার লিগের অংশ।

ফিট থাকতে সবার আগে চিনি বাদ দিন, প্রাকৃতিক ও নিরাপদ জিরোক্যাল-এর মিষ্টি স্বাদ নিন।

আগামী বিশ্বকাপে সরাসরি কোয়ালিফাইয়ের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখবে ওয়ানডে সুপার লিগ। বর্তমানে পয়েন্ট টেবিলে ইংল্যান্ড এক নম্বরে। তার পরেই বাংলাদেশ। আর যাদের বিপক্ষে আসন্ন সিরিজটি, সেই জিম্বাবুয়ের অবস্থান একদম তলানীতে, ১৩ নম্বরে।

যদিও তারা খেলেছে মাত্র তিন ম্যাচ। জয় একটিতে। অন্যদিকে শীর্ষ দুই দল ইংল্যান্ড ১৪ ও বাংলাদেশ ৯ ম্যাচ খেলেছে।

এই সিরিজে জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করা গেলে ইংল্যান্ডের খুব কাছে চলে যাবে বাংলাদেশ। ৮৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থাকা ইংল্যান্ডের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবধান হবে মাত্র ৫ পয়েন্টের।

বর্তমানে ইংল্যান্ডের ৮৫ পয়েন্ট, আর বাংলাদেশের ৫০। তামিম ইকবালের দলের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলা অস্ট্রেলিয়া ও পাকিস্তানের সমান ৪০ পয়েন্ট করে। তৃতীয় ও চতুর্থ অবস্থানে এদুটি দল।

জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করতে পারলে একই প্রতিপক্ষের সঙ্গে ৫০তম ওয়ানডে জয়ের কীর্তি গড়বে বাংলাদেশ। এপর্যন্ত ৭৫ বার দুই দল ৫০ ওভারের ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে। বাংলাদেশ জিতেছে ৪৭বার। আর তিনটি জয় পেলেই ফিফটি পূর্ণ হবে টাইগারদের। অন্যদিকে জিম্বাবুয়ে জিতেছে ২৮টি ওয়ানডে।

জিম্বাবুয়ের মাটিতে মুখোমুখি লড়াইয়ে জয়ের দিক থেকে এগিয়ে স্বাগতিকরা। ২৮ ম্যাচের মধ্যে তারা জিতেছে ১৫ বার। আর সফরকারী বাংলাদেশ জিতেছে ১৩ বার।

১৬, ১৮ ও ২০ জুলাই হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে হবে ওয়ানডে সিরিজের তিন ম্যাচ। তার আগে ১৪ জুলাই ৫০ ওভারের একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে টিম টাইগার্স। ওয়ানডের পর রয়েছে তিন ম্যাচের টি-টুয়েন্টি সিরিজ।

২০১৩ সালে সবশেষ পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে জিম্বাবুয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। টেস্ট ও টি-টুয়েন্টি সিরিজ ১-১এ ড্র করলেও ওয়ানডে সিরিজ ২-১ হেরে যায় সফরকারীরা। আট বছর পর যখন দুটি দল মুখোমুখি হচ্ছে, তখন শক্তি-সামর্থ্যের বিচারে অনেক এগিয়ে বাংলাদেশ।

একমাত্র টেস্টে ২২০ রানের বিশাল ব্যবধানে পাওয়া জয় আরও বেশি নির্ভার করেছে দলকে। যুগিয়েছে আত্মবিশ্বাস।