প্রতি বছর ঈদযাত্রায় যানজটের ভোগান্তি থাকলেও এবার সেই ভোগান্তি থাকবে না বলে আশা করা হচ্ছে। কারণ, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে তিনটি নতুন সেতু খুলে দেয়ার সুফল পেতে শুরু করেছে সাধারণ মানুষ। এর ফলে ঢাকা থেকে মাত্র দেড় ঘণ্টায় কুমিল্লা আর পাঁচ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে যাওয়া যাচ্ছে বলে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
শনিবার মেঘনা ও গোমতী নদীর ওপর নির্মিত দ্বিতীয় মেঘনা ও দ্বিতীয় গোমতী সেতু খুলে দেয়া হয়েছে। আর কিছুদিন আগে চালু হয়েছে দ্বিতীয় কাঁচপুর সেতু। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ওপর নতুন এই তিনটি সেতু নির্মাণের ফলে এই সুফল পাচ্ছেন মানুষ। যেখানে কুমিল্লায় যেতেই ৭-৮ ঘণ্টা লেগে যেত, সেখানে এত অল্প সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে পেরে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন যাত্রীরা। এখন সংশ্লিষ্টরা এই সফলতা ধরে রাখতে উদ্যোগী হবেন বলেই আমাদের বিশ্বাস।
এছাড়া সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আশার বাণী শুনিয়েছেন। তিনি বলেছেন: আসন্ন ঈদে বিআরটিসির বহরে নতুন-পুরনো মিলিয়ে ১১শ’ বাস যুক্ত হবে। তবে তিনি এটাও স্বীকার করেছেন যে, বিআরটিসির সেবা নিয়ে এখনও জনমনে অসন্তুষ্টি রয়েছে। বিআরটিসি’র সেবা নিয়ে জনমনে যাতে অসন্তুষ্টি না থাকে সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সেবার মান নিশ্চিতে সংশ্লিষ্ট সকলকে উদ্যোগী হতে হবে।
অন্যদিকে টিকিট কালোবাজারিদের কারণেও ঘরমুখী মানুষের ঈদযাত্রা পণ্ড হয়। মানুষ যাতে এবার ভোগান্তির শিকার না হয় সেই ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়েছে র্যাব। র্যাব-৩ এর কমান্ডিং অফিসার (সিও) লেফটেন্যান্ট কর্নেল এমরানুল হাসান জানিয়েছেন: আসন্ন ঈদুল ফিতরে মানুষের ঘরে ফেরা আনন্দঘন ও নিরাপদ করতে এবং টিকিট কালোবাজারিদের দমনে সর্বাত্মক ব্যবস্থা নিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশান ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। রাজধানীর বিভিন্ন স্টেশন থেকে মানুষের ঘরে ফেরা এবং নিরাপদে ফিরে আসা নিশ্চিত করার জন্য র্যাব-৩ তৎপর রয়েছে।
আমরা মনে করি, সবার এমন সম্মিলিত উদ্যোগই নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা মানুষদের ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে পারে। শূন্যের কোটায় নিয়ে আসতে পারে ভোগান্তিও। তাই কথার কথা না বলে মানুষের বাড়ি ফেরাকে আরও নিরাপদ ও ভোগান্তি মুক্ত করতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাযথ ভূমিকা পালন করতে আমরা আহ্বান জানাচ্ছি।