চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি থেকে ১৮৪ জন ভোটাধিকার বঞ্চিত শিল্পীরা মিলে এফডিসিতে নতুন সংগঠন দিয়েছেন, যার নাম ‘চলচ্চিত্র শিল্পী অধিকার রক্ষা ফোরাম’।
চলচ্চিত্রের সিনিয়র শিল্পী, প্রযোজক ও পরিচালক মিলিয়ে ১০ জনকে এ সংগঠনের উপদেষ্টা কমিটিতে রাখা হয়েছে। চলচ্চিত্রের ১৮ পরিবারের আওতাভুক্ত হওয়ায় এফডিসিতে এ নিয়ে সংগঠনের মোট সংখ্যা দাঁড়ালো ১৯টি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চলচ্চিত্রের যেসব শিল্পীরা তাদের ভোটাধিকার অধিকার ও সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন তারা এ সংগঠনের সদস্য। তাদের অধিকার রক্ষাই সংগঠনটির মূল উদ্দেশ্য।
‘চলচ্চিত্র শিল্পী অধিকার রক্ষা ফোরাম’-এর আহ্বায়ক ও চিত্রনায়ক ফিরোজ শাহী চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, ৮ আগস্ট এ সংগঠনটি গোছাতে শুরু করি। মঙ্গলবার পরিচালক ও প্রযোজক সমিতি থেকে অনুমোদন পাই এবং চলচ্চিত্র পরিবারে এ সংগঠন যুক্ত হয়। আগামিতে এফডিসিতে আমরা এ সংগঠনের অফিস করতে চাই।
‘চলচ্চিত্র শিল্পী অধিকার রক্ষা ফোরাম’-এ রয়েছে সিনিয়র শিল্পী, পরিচালক ও প্রযোজক মিলিয়ে থাকছেন ১০ সদস্যের উপদেষ্টা। তারা হলেন প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরু, শামসুল আলম, এমডি ইকবাল, আলিমুল্লাহ খোকন, মেহেদি হাসান সিদ্দিকী মনি, বিপ্লব শরীফ। পরিচালকদের মধ্যে আছেন। মুশফিকুর রহমান গুলকার, বদিউল আলম খোকন। আরও আছেন দুই অভিনেতা ওমর সানী ও অমিত হাসান।
এছাড়া এ সংগঠনের মূল কমিটিতে একজন আহবায়ক, ৩ জন যুগ্ম আহ্বায়ক, একজন সদস্য সচিব, চারজন যুগ্ম সদস্য সচিব, কার্যনির্বাহী সদস্য ১২ জনসহ মোট ২১ জন শিল্পী আছেন।
‘চলচ্চিত্র শিল্পী অধিকার রক্ষা ফোরাম’-এর অন্যতম উপদেষ্টা চিত্রনায়ক ওমর সানী বলেন, শিল্পী সমিতি থেকে ভোটাধিকার হারানো ১৮৪ জন একত্রিত হয়ে এ সংগঠন দিয়েছেন। আমি এখানে উপদেষ্টা হিসেবে আছি। তাদের অধিকার আদায়ের পরেও যাতে এ সংগঠনটি থাকে সেটিও চাই। এ সংগঠন দিয়ে এফডিসিতে এখন মোট ১৯ সংগঠন।
প্রযোজক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও ‘চলচ্চিত্র শিল্পী অধিকার রক্ষা ফোরাম’-এর উপদেষ্টা শামসুল আলম বলেন, ১৮৪ জন বঞ্চিত শিল্পীরা মিলে এ সংগঠন দিয়েছে। আমাকে উপদেষ্টা হিসেবে কমিটিতে রেখেছে। তারা তাদের যৌক্তিক অধিকার আদায়ে এক হয়েছেন। তাদের দাবি ও সংগঠনের সঙ্গে আমরা চলচ্চিত্র পরিবার এক আছি।
তবে উপদেষ্টা কমিটিতে নাম থাকা জনপ্রিয় অভিনেতা অমিত হাসান চ্যানেল আই অনলাইনকে জানান, এ সংগঠনের ব্যাপারে কিছুই জানি না। খবরটি এ প্রতিবেদকের মাধ্যমেই প্রথম শুনলেন। তিনি বলেন, উপদেষ্টা কমিটির তালিকায় আমার নাম যদি দিয়েই থাকে তবে আমার অনুমতি ছাড়াই করা হয়েছে। আমি কিছুই জানিনা।
‘চলচ্চিত্র শিল্পী অধিকার রক্ষা ফোরাম’-এর আহ্বায় ফিরোজ শাহী বলেন, অমিত হাসান পরপর দুই মিটিংয়ে উপস্থিত ছিলেন না। এজন্য তিনি হয়তো জানেন না। তবে তিনি আমাদের সঙ্গেই আছেন।
সংগঠনটির সদস্য সচিব মিজানুর রহমান বলেন, শিল্পী সমিতিতে থেকে যে ১৮৪ জনকে অন্যায়ভাবে বাদ দেয়া হয়েছে তারা এক হয়েই ‘চলচ্চিত্র শিল্পী অধিকার রক্ষা ফোরাম’ গঠন করেছে। আমাদের সদস্যপদ ফিরিয়ে দেয়া হলেও ভবিষ্যতে এ সংগঠন থাকবে। যেসব শিল্পী তার অধিকার থেকে বঞ্চিত তারা আমাদের সঙ্গে যোগ দিলে তাদের অধিকার আদায়ে আমরা লড়বো। শিল্পী সমিতি বাদে সব সংগঠন আমাদের স্বীকৃতি দিয়েছে।