১০২, ১০১, ১০০, ২৮, ৩৭ শেষ পাঁচ ইনিংসে এনামুল হক বিজয়ের স্কোর। মোট ৩৬৮ রান। আর শেষ পাঁচ ইনিংসে সাইফ হাসান করেছেন ৪১১ রান। তার ইনিংসগুলো এরকম-১৩২, ১০২, ৯, ৮৫ ও ৮৩।
টানা তিন সেঞ্চুরি করে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে রীতিমতো উড়ছেন এনামুল হক বিজয়। তবে কম যাচ্ছেন না তরুণ সাইফ হাসানও। টানা দুই সেঞ্চুরিতে বিজয়কে টেক্কা দিচ্ছেন অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সাবেক অধিনায়ক।
শনিবার তার অপরাজিত সেঞ্চুরিতে প্রাইম দোলেশ্বরের কাছে পাত্তাই পায়নি খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সমিতি। ম্যাচে ৭ উইকেটে জয় পেয়েছে সাইফ-ফরহাদ রেজার দল।
প্রথম ব্যাট করে সাদিকুর রহমান ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের হাফসেঞ্চুরিতে ২৫৭ রানের লড়াই করার মতো পুঁজি পায় খেলাঘর। অঙ্কন দলীয় সর্বোচ্চ ৮৬ ও সাদিকুর করেন ৫৮ রান। বাকি ব্যাটসম্যানদের একজন ছাড়া সবাই কুড়ির ঘর ছুঁতে না পারায় স্কোরটা বড় হয়নি।
প্রাইম দোলেশ্বরের হয়ে ৩ উইকেট নিয়ে সফর বোলার অধিনায়ক ফরহাদ রেজা। দুটি করে উইকেট নেন আবু জায়েদ রাহী ও সৈকত আলি। আরাফাত সানির পকেটে যায় একটি উইকেট।
২৫৮ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ৩৩ রানের মাথায় আউট হন সৈকত আলি। রবিউল ইসলাম রবির শিকার হওয়ার আগে তার নামের পাশে জমা হয় ১৪ রান। ২৪ রান করে ইরফান হাসানের বলে মাহমুদুল হাসান যখন সাজঘরে ফেরেন স্কোর বোর্ডে তখন রান ৯৪।
দুই সঙ্গীকে হারালেও নিজের পাশ আগলে ব্যাট চালিয়ে যান সাইফ। তৃতীয় উইকেট জুটিতে মার্শাল আইয়ুবের সঙ্গে তোলেন ৭৮ রান। ৪০ রান করে মোসাদ্দেক ইফতেখারের শিকার হন আইয়ুব। এরপর অবশ্য আর উইকেট হারায়নি দোলেশ্বর।
খেলাঘরের বোলারদের তুলোধুনো করে উইকেটের চারদিকে রানের ফুলঝুরি ছুটিয়েছেন সাইফ। শেষ পর্যন্ত ১৩৪ বলে নয়টি চার ও তিন ছক্কায় ১৩২ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। ২৬ বলে ৩৪ রানে অপরাজিত থেকে সাইফকে দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান সাদ নাসিম।