চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

এনডিটিভি বন্ধ নিয়ে ভারতজুড়ে ব্যাপক বিতর্ক

ভারত সরকারি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এনডিটিভি বন্ধের নির্দেশ দেয়ার পর ভারতজুড়ে শুরু হয়েছে ব্যাপক বিতর্ক। সরকারের বিরুদ্ধে একনায়কতন্ত্রের অভিযোগ তুলে একজোট হয়েছেন সেদেশের সাংবাদিক ও বিরোধী দলগুলো।সমালোচনা করা হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও।

জানুয়ারি মাসে পঠানকোটে জঙ্গি হামলার সময় স্পর্শকাতর তথ্য ফাঁস করার অভিযোগে ‘এনডিটিভি ইন্ডিয়া’ চ্যানেলটির সম্প্রচার এক দিনের জন্য বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।

এই ঘটনার পর থেকেই সাংবাদিক থেকে থেকে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি একজোট হয়েছে। নরেন্দ্র মোদির দিকে তীর ছুঁড়ে ভারতে জরুরি অবস্থা জারি হচ্ছে বলে অভিযোগ তাদের।

বিরোধীরা ছাড়াও এডিটরস গিল্ড ও অন্যান্য সংস্থাও এই সিদ্ধান্তকে বাক্ স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ বলে মনে করছে। এনডিটিভির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, জাতীয় নিরাপত্তা ব্যাহত করে এমন কোনও স্পর্শকাতর বিষয় সম্প্রচার করা হয়নি।

সাংবাদিক ও বিরোধী দলের অব্যাহত সমালোচনার পর মুখ খুলেছেন ভারতের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বেঙ্কাইয়া নাইডু। তিনি সবাইকে বোঝানোর চেষ্টা করছেন যে, জরুরি অবস্থার সঙ্গে এর কোনও মিলই নেই। সরকারের বিরোধিতা নিছক রাজনীতি ছাড়া আর কিছুই নয়।

শুক্রবার থেকেই রাজনৈতিক দলগুলো চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ নিয়ে মোদি সরকারের সমালোচনায় মুখর হয়। শনিবার সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ও কংগ্রেস নেতা মণীশ তিওয়ারি বলেন, ‘সম্প্রচার বন্ধ করে সরকার শুধু মাত্র এনডিটিভি-কে বার্তা দিতে চাইছে না। এই বার্তা সব সংবাদমাধ্যমকেই- হয় সরকারের অনুসারে চলো নয়তো চলতেই দেওয়া হবে না।’

তিনি বলেন, যে ভাবে সিদ্ধান্ত ঘোষণার এক দিন পর থেকে সমালোচনার ঝড় বইতে শুরু করেছে, সেটি রাজনৈতিক উদ্দশ্যে প্রণোদিত পদক্ষেপ ছাড়া আর কিছুই নয়।

আর বিচারপতি মার্কণ্ডেয় কাটজুর মতে, যেভাবে এনডিটিভি-র সম্প্রচার বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সেটি পুরোপুরি বেআইনি। কারণ, কেবল টিভি নেটওয়ার্ক আইনে বলা রয়েছে, কোনও জঙ্গি মোকাবিলা চলার সময় সরাসরি সম্প্রচার করা যাবে না। সেনা যখন জঙ্গিদের মোকাবিলা করছিল, তার কোনও সরাসরি সম্প্রচার এনডিটিভি করেনি।

আর লালু প্রসাদ যাদব চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধের প্রসঙ্গ তুলে অভিযোগ করেন, নরেন্দ্র মোদি ফের জরুরি অবস্থা ফিরিয়ে আনছেন। পরে সাংবাদিক সম্মেলন করে মায়াবতীও বলেন, সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করে মোদি সরকার নিজের ব্যর্থতা ঢাকতে চাইছে।