একটা বিলাসবহুল ফ্ল্যাটের দরজা খুলতেই ভয়াবহ দুর্গন্ধ। প্রতিটি রুমে যত্রতত্র পড়ে আছে বিভিন্ন জিনিসপত্র। বাথরুমগুলোর অবস্থা আরও খারাপ। শুধু ঘরই নয়, সামনের বাগানগুলোও ভরে আছে জানালা দিয়ে ফেলা ময়লায়। ঘরটা একজন বিখ্যাত ফুটবলারের, নাম উসমানে ডেম্বেলে।
২০১৭তে বার্সেলোনায় পাড়ি দেয়ার আগে থাকতেন জার্মানিতে। বরুশিয়া ডর্টমুন্ড থেকে কাতালান ক্লাবে যোগ দেয়ার সময় ঠিকঠাক মতো বাসা বুঝিয়ে দেননি ডেম্বেলে। পুরো ফ্ল্যাটই আবার ময়লা-আবর্জনায় ভরা। বার্সায় আসার পর আর কখনোই জার্মানির বাসায় যাননি ২১ বছরের ডেম্বেলে। এই কাজের জন্য এখন ফরাসি তারকাকে গুণতে হবে ১০ হাজার ইউরো।
ফ্ল্যাটের মালিক গার্ড উইসেনবার্গ জার্মান দৈনিক বিল্ডকে বলেছেন, ‘পুরো বাড়ি আসলে ডাস্টবিন। সবকিছু বিক্ষিপ্ত অবস্থায় আছে। প্রতিটি রুমের একই হাল। আমি যখন প্রথম (ডেম্বেলে ছেড়ে আসার পর) ঢুকলাম, তখন স্রেফ বিস্মিত হয়েছি। আমি এত বেশি হতাশ, কারণ ঘরটা আমার মা-বাবার। আমি এখন এটা বিক্রি করে দিতে চাচ্ছি।’
বাড়ির বিভিন্ন জিনিসের ক্ষতি ও ময়লা-আবর্জনায় ভরে দেয়ার জন্য উইসেনবার্গ আসলে ক্ষতিপূরণ হিসেবে চেয়েছিলেন ২১ হাজার ইউরো। তবে ডেম্বেলের আইনজীবীর সঙ্গে বনিবনার পর ১০ হাজার ইউরোতে রাজি হন।
শুনানিতে উইসেনবার্গ বলেছেন, ‘পুরো ঘরে ছিল তীব্র দুর্গন্ধযুক্ত। প্রতিটি বাথরুমের ভয়ানক অবস্থা, টয়লেটের কমোডে লোহার পাইপ ঢোকানো। যেগুলো আমাকে হাত দিয়ে বের করতে হয়েছে। ডেম্বেলে যখন চলে যায়, তখন সবকিছুই খুব কঠিন ছিল। আমরা চিন্তা করতে পারছিলাম না যে, এই আবর্জনা কীভাবে পরিস্কার করব। কারণ, এগুলোর অনেকটা আবার বাগানে ফেলা হয়েছিল।’
গত নভেম্বরে উইসেনবার্গ যে বিবরণ দিয়েছেন, তাতে এটা স্পষ্ট যে জার্মানিতে ডেম্বেলের অসহায়তার কারণে তিনিই একমাত্র আক্রান্ত ব্যক্তি নন।
উইসেনবার্গ বলেছেন, ‘সব জায়গায় ময়লা এবং আবর্জনা ছিল। ফ্রিজে পচা মাংস, মেঝেতে পুরনো প্লাস্টিক ব্যাগ এবং রান্নাঘরে বিভিন্ন বাটিতে নষ্ট খাবার। পড়ে থাকা খাবার শুকিয়ে মেঝে নষ্ট হয়েছে।’
শুধু এগুলোই নয়, অনেক সময় দোকানের খাবার বিলও শোধ করেননি ডেম্বেলে। উইসেনবার্গের কথায়, ‘সদর দরজার সামনে মূল্য পরিশোধ না করা বিলে কাগজ ছিল। ফলে আমি একা নই যে ডেম্বেলের দ্বারা প্রতারিত হয়েছি।’