চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

এতো আলো জ্বালিয়েছ এই গগনে

গত শতকের পঞ্চাশের দশকের মাঝামাঝি সময়, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় অডিটোরিয়ামে বক্তৃতা করছিলেন দৃষ্টি-বাক-শ্রবণ প্রতিবন্ধী এক বক্তা। যিনি তাঁর ৭৫ বছরের জীবনকে বর্ণনা করছিলেন বটবৃক্ষের সাথে। ভাঙা ভাঙা, অস্পষ্ট উচ্চারণে বলছিলেন শত দুর্যোগে টিকে থাকার কথা। তারপরও মন্ত্রমুগ্ধের মতো শুনছিলেন হলভর্তি দর্শক-শ্রোতা।

বক্তা একজন শিক্ষিকা, লেখিকা ও সমাজকর্মী। বিশ্বের প্রথম দৃষ্টি-বাক-শ্রবণ প্রতিবন্ধী গ্রাজুয়েট। সমাজতন্ত্র, শ্রমিকের কল্যাণ আর নারীর ভোটাধিকারের দাবিতে যার কলম চলতো অস্ত্রের মতো। তিনি হেলেন কেলার। বিস্ময়কর প্রতিভা, প্রচণ্ড ইচ্ছাশক্তি আর অধ্যবসায় দিয়ে তিনি জয় করেন সব প্রতিবন্ধকতা।

সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হলো, বাক প্রতিবন্ধী এই নারীই বিশ্বজুড়ে পরিচিতি পান ‘জনবক্তা’ হিসেবে। ২৭ জুন তাঁর জন্মদিন বিশ্বজুড়ে উদযাপন করা হয় ‘হেলেন কেলার ডে’ হিসেবে।

শৈশবেই কঠিন অসুখ: যুক্তরাষ্ট্রের আলাবামার টুস্কাম্বিয়ায় ১৮৮০’র ২৭ জুন জন্ম হেলেন অ্যাডামস কেলারের। শারীরিক সব পূর্ণতা নিয়েই পৃথিবীতে এসেছিলেন হেলেন। মাত্র ছয় মাস বয়সেই কথা ফোটে, হাঁটতে শেখেন এক বছর বয়সে।

কিন্তু দেড় বছর বয়সে প্রচন্ড জ্বরে আক্রান্ত হন। চিরদিনের মতো হারিয়ে যায় চোখের আলো, কথা আর কানে শোনার ক্ষমতা। কোন কোন চিকিৎসকের মতে, স্কারলেট ফিভার বা মেনিনজাইটিসে আক্রান্ত হয়েছিলেন হেলেন। তবে চিকিৎসা বিজ্ঞানে তাঁর এই অসুস্থতা আজও এক বিস্ময়।

বেপরোয়া আচরণ: দেখতে-শুনতে না পাওয়ায় পরিবারের  কেউই বুঝতো না হেলেনকে। বাড়ির বাবুর্চির সমবয়সী মেয়ে মার্থার সঙ্গেই একটু আধটু সাংকেতিক ভাব বিনিময় হতো। খুব কথা বলতে চাইতেন। হয়তো এজন্যই ক্ষোভ আর বিদ্রোহ ছিলো মনে। তাই সবকিছুতেই রাগ, হাত-পা ছুঁড়ে মাটিতে গড়াগড়ি ও ভাংচুর ছিলো নিত্য ঘটনা।

আর আনন্দের প্রকাশ? সেটাও বুনো। বিচিত্র শব্দে হেলেনের নিয়ন্ত্রণহীন হাসি রীতিমতো ভয় পাইয়ে দিতো সবাইকে।

মা-বাবা’র আকুলতা: অন্ধ-বোবা মেয়েকে নিয়ে কম যন্ত্রণা পোহাতে হয়নি মা ক্যাথরিন অ্যাডামসকে। মেয়ের স্বাভাবিক জীবনের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেন কেইট। বাবা  আর্থার এইচ কেলার ছিলেন সাবেক সেনা সদস্য, পরে স্থানীয় একটি পত্রিকা সম্পাদনা করতেন।

হেলেনকে নিয়ে মা-বাবা ছুটে বেড়িয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের নানা প্রান্ত। দেখা করেছেন আলেক্সান্ডার গ্রাহাম বেলের সঙ্গে। সে সময়টায় বাক প্রতিবন্ধীদের নিয়ে কাজ করছিলেন তিনি। বোস্টনের পারকিনস ইন্সটিটিউট ফর দ্য ব্লাইন্ড-এ যোগাযোগের পরামর্শ দেন বেল। প্রতিষ্ঠানের পরিচালকই খোঁজ দেন অ্যান সুলিভানের। সুলিভান ছিলেন পারকিনস ইন্সটিটিউটেরই গ্রাজুয়েট। তাঁর নিজেরও চোখে কিছুটা সমস্যা ছিলো।

মুক্তিদূত অ্যান সুলিভান: ১৮৮৭ সালে যেন মুক্তিদূত হয়ে আলাবামায় হেলে দের বাড়িতে যান অ্যান সুলিভান। বেয়াড়া হেলেনকে কাছে টানতে তার এক হাতে তুলে দেন পুতুল। আরেক হাতে আঙ্গুল দিয়ে বানান করে শিখিয়ে দেন D-O-L-L বেশ কৌতুহলী হয়ে উঠেন হেলেন। দ্রুত শিখে নেন কয়েকটা শব্দ। কিন্তু পরে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন হেলেন।

পড়াশোনার নিবিড় পরিবেশের জন্য বাগানে নির্জন ঘরে অ্যান ও হেলেনের থাকার ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু হেলেনের অসহযোগিতায় বার বারই হতাশ হয়ে পড়েন অ্যান।

নাটকীয় মোড়: একদিন খুব বেপরোয়া আচরণ করছিলেন হেলেন।  সামাল দিতে বাড়ির উঠোনে টিউবওয়েলের কাছে নিয়ে যান অ্যান। পানির ছোঁয়ায় শান্ত হন হেলেন, খুব আগ্রহ নিয়ে খেলতে থাকেন পানি নিয়ে। হেলেনের একহাতে পানি পাম্প করেন অ্যান। আরেক হাতে আঙ্গুলে লিখে দেন W-A-T-E-R. সঙ্গে সঙ্গেই অ্যন্যের হাতেও হেলেন লিখে দেন শব্দটি।

জানার নেশায় পেয়ে বসে হেলেনকে, সারাবাড়ি ছুটতে ছুটতে জানতে চান কোনটা কি। সেদিনই ৩০টি শব্দ শিখে ফেলেন হেলেন। কথা বলার সময় অ্যানের ঠোঁট-নাক-গলা ছুঁয়ে অনুভব করেন কম্পন। আর তা অনুকরণ করে কথা বলারও চেষ্টা করতে থাকেন।

নিরন্তর চেষ্টার পর তাঁর প্রথম  প্রথম বাক্য ছিলো, ‘আই অ্যাম নট ডাম্ব নাউ’। এরপর শুধুই এগিয়ে চলার গল্প।

আনুষ্ঠানিক শিক্ষা: ১৮৯০ সালে বোস্টনে হোরেস মান স্কুল ফর দ্য  ডেফ-এ স্পিচ ক্লাসে ভর্তি হন হেলেন। সেই থেকে স্পষ্ট কথা উচ্চারণে ২৫ বছরের কঠোর সাধনার শুরু। যোগাযোগ দক্ষতা বাড়ানোর পাশাপাশি অ্যাকাডেমিক শিক্ষার জন্য ১৮৯৪ থেকে ১৮৯৬ পর্যন্ত নিউইয়র্কের রাইট-হুমাসন স্কুল ফর দ্য ডেফ-এ  পড়াশোনা করেন হেলেন।

এরপর ভর্তি হন ক্যামব্রিজ স্কুল ফর ইয়াং লেডিজ-এ। সবখানেই পাশে থেকেছেন অ্যান সুলিভান।

দৃষ্টি-বাক প্রতিবন্ধী প্রথম গ্রাজুয়েট: হেলেনের সাফল্যের গল্প ছড়িয়ে পড়ে। মার্ক টোয়েন, জর্জ বার্নার্ড শ’র মতো বিখ্যাত লেখক, সাহিত্যিক, রাজনৈতিক কর্মী ও প্রভাবশালীদের সঙ্গে যোগাযোগ হয় তাঁর।

মার্ক টোয়েন হেলেনের পড়াশোনার খরচ যোগাতে সহায়তা করতেন।  তিনিই হেলেনকে পরিচয় করিয়ে দেন বিখ্যাত ‘স্ট্যান্ডার্ড অয়েল’  কোম্পানির এক্সিকিউটিভ হেনরি এইচ রজার্সের সঙ্গে। হেলেনের মেধা আর চারিত্রিক দৃঢ়তায় মুগ্ধ হয়ে র‍্যাডক্লিফ কলেজে তার পড়াশোনার দায়িত্ব নেন রজার্স। সেখানেও ক্লাস লেকচার আর টেক্সট ইন্টারপ্রেট করে দিতেন অ্যান সুলিভান।

এরইমধ্যে টাচ লিপ রিডিং, ব্রেইল, টাইপিং ও ফিংগার স্পেলিং-এ দক্ষ হয়ে উঠেন হেলেন। ১৯০৪ সালে রযাডক্লিফ কলেজ থেকে গ্রাজুয়েট হলেন হেলেন। তিনিই বিশ্বের প্রথম দৃষ্টি- বাক-শ্রবণ প্রতিবন্ধী ব্যাচেলর অব আর্টস ডিগ্রিধারী।

১৯০৫ সালে হার্ভার্ড কলেজের ইন্সট্রাক্টর, সোশ্যাল ক্রিটিক ও প্রখ্যাত সোশ্যালিস্ট জন ম্যাসিকে বিয়ে করেন অ্যান সুলিভান।

অ্যান-এর মতো ম্যাসিও হেলেনের শিক্ষক ও গাইড হয়ে উঠেন। খুব বেশিদিন টিকেনি অ্যান-ম্যাসির সম্পর্ক। তবে অ্যান- হেলেনের গুরু-শিষ্য সম্পর্ক ছিলো অটুট।

সামাজিক কর্মকাণ্ড: গ্রাজুয়েশনের পর  সেলিব্রিটি লেকচারার হয়ে উঠেন হেলেন। কাজ করতে থাকেন শারীরিক প্রতিবন্ধীদের কল্যাণে। বিশ শতকের প্রথম দিকে নারীর ভোটাধিকার, শান্তিবাদ, জন্ম নিয়ন্ত্রণসহ বিভিন্ন সামাজিক-রাজনৈতিক ইস্যুতে চলতে থাকে তার লড়াই।

দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের কল্যাণে মার্কিন কংগ্রেসের এক শুনানিতে জোরালো বক্তব্য দেন হেলেন। বিশ্বজুড়ে তাঁর পরিচিতি ছিলো প্রতিবন্ধী মানুষের অ্যাডভোকেট হিসেবে। ১৯১৫ সালে বিখ্যাত সিটি প্ল্যানার জর্জ কেসলারের সঙ্গে প্রতিষ্ঠা করেন অলাভজনক প্রতিষ্ঠান হেলেন কেলার ইন্টারন্যাশনাল। অন্ধত্ব ও অপুষ্টির কারণ ও পরিণতি  নিয়ে বিশ্বজুড়ে আজও কাজ করে চলেছে প্রতিষ্ঠানটি।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিটি নাগরিকের সমান অধিকারের দাবিতে ১৯২০ সালে প্রতিষ্ঠা করেন অ্যামেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়ন। অ্যামেরিকান ফেডারেশন ফর দ্য ব্লাইন্ড ফাউন্ডেশনের সদস্য হিসেবে অন্ধত্ব সম্পর্কে সচেতনতায় বহু ক্যাম্পেইনে অংশ নেন হেলেন। দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের কল্যাণে যোগাড় করেন অর্থ ও সমর্থন। যুক্ত হন অ্যামেরিকান ব্রেইল প্রেসসহ সামাজিক বিভিন্ন সংস্থার সাথে।

শ্রমিকের কল্যাণে কাজ করতে ১৯১২ সালে যোগ দেন ইন্ডাস্ট্রিয়াল ওয়ার্কার্স অব দ্য ওয়ার্ল্ড-এ।একসময় সক্রিয় রাজনীতিতেও জড়িয়ে পড়েন হেলেন। ‘আউট অব দ্য ডার্ক’ শিরোনামে সমাজতন্ত্র নিয়ে ধারাবাহিক নিবন্ধও লিখেন। রাজনৈতিক মতের কারণে প্রতিকূলতার মুখে পড়েন হেলেন। শারীরিক প্রতিবন্ধকতার জন্য ব্যক্তিগতগতভাবে তাঁকে আক্রমণ করে লিখতে শুরু করেন সমালোচকরা।  

অ্যান সুলিভানের মৃত্যু: যার হাত ধরে অন্ধকার-নীরব পৃথিবীটাকে চিনতে শিখেছিলেন হেলেন, সেই পরম বন্ধু-শিক্ষক অ্যান সুলিভান ১৯১৪ সালে অসুস্থ হয়ে পড়েন। শেষের ক’বছর একেবারেই চোখে দেখতেন না অ্যান। বেশ কিছুদিন কোমায় থাকার পর হেলেনের হাত ধরেই ৪৯ বছরের গুরু-শিষ্যের সম্পর্ক ছিঁড়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন অ্যান সুলিভান।

অ্যানের মৃত্যুর পর হেলেনের সার্বক্ষণিক সঙ্গী হয়ে উঠেন পলি থমসন নামে এক স্কটিশ নারী। ১৯৫৭ সালে  স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার পর ১৯৬০ সালে পলিরও মৃত্যু হয়। এরপর উইন কর্বালি নামে একজন নার্সই ছিলেন হেলেনের বাকী জীবনের সঙ্গী।  

কর্মব্যস্ত জীবন: ১৯৪৬ সালে অ্যামেরিকান ফাউন্ডেশন অব ওভারসিজ ব্লাইন্ড -এর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক কাউন্সেলর হিসেবে নিয়োগ পান হেলেন। ১৯৪৬ থেকে ১৯৫৭ পর্যন্ত ৫ মহাদেশের ৩৫ টি দেশ ভ্রমণ করেন তিনি। জীবনের সবচেয়ে দীর্ঘ ও ক্লান্তিকর ভ্রমণটা ছিলো ১৯৫৫ সালে।

কোটি মানুষের অনুপ্রেরণা যোগাতে এশিয়ার ৪০ হাজার মাইলজুড়ে টানা ৫ মাস ভ্রমণ করেন তিনি। তখন তাঁর বয়স ৭৫।

লেখালেখি: সামাজিক-রাজনৈতিক ইস্যুতে পত্রিকায় নিবন্ধ লেখার পাশাপাশি ১২টি বই লিখেন হেলেন। র‍্যাডক্লিফ কলেজে পড়ার সময় লিখেন আত্মজীবনী ‘দ্য স্টোরি অব মাই লাইফ’। যার সবটাতেই ছিলো হেলেনের জন্য শিক্ষিকা অ্যান সুলিভানের সাধনার কথা।

এই আত্মজীবনী ধরেই ১৯৫৭ সালে নির্মাণ করা হয় টিভি নাটক ‘দ্য মিরাকল ওয়ার্কার’। এরপর লাইভ থিয়েটার ড্রামা ও চলচ্চিত্রও নির্মাণ করা হয়। ১৯৬২ সালে নির্মিত ছবি ‘দ্য মিরাকল ওয়ার্কার’ দুই ক্যাটাগরিতে অস্কার জেতে।

পুরস্কার ও সম্মাননা: কাজের স্বীকৃতিতে বহু পুরস্কার আর সম্মাননা পেয়েছেন হেলেন। যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অব ফ্রিডমে ভূষিত হন ১৯৬৪ সালে। পেয়েছেন থিওডর রুজভেল্ট ডিসটিংগুইশড সার্ভিস মেডেল, ন্যাশনাল উইমেন্স হল অব ফেইম।

অনারারি ডক্টরাল ডিগ্রি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের টেম্পল ও হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি। স্কটল্যান্ডের গ্ল্যাসগো, জার্মানির বার্লিন, ভারতের দিল্লি, সাউথ আফ্রিকার জোহানেসবার্গের উইটওয়াটার ওর্যান্ড ইউনিভার্সিটি থেকেও পেয়েছেন অনারারি ডক্টরাল ডিগ্রি। সর্বশেষ গত ৮ জুন আলাবামা রাইটার্স হল অব ফেইম-এ অভিষিক্ত হন হেলেন।

মৃত্যু: ১৯৬১ সালে কয়েক দফা স্ট্রোকে আক্রান্ত হন হেলেন। জীবনের শেষ দিনগুলো কাটান তাঁর কানেক্টিকাটের বাড়িতে। একেবারে নীরবেই পৃথিবী ছেড়ে যান বিস্ময়কর প্রতিভার এই নারী। ১৯৬৮-র ১ জুন ৮৮তম জন্মদিনের মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে ঘুমের মধ্যেই তাঁর মৃত্যু হয়।

অনুপ্রেরণায় হেলেন দৃঢ়তা, ধৈর্য, কঠোর পরিশ্রম আর কল্পনাশক্তি কীভাবে মানুষকে শত বাধা ঠেলে জয়ী করে তুলে তার উদাহরণ হেলেন কেলার। শারীরিক প্রতিবন্ধীদের কল্যাণে আজীবন কাজ করে যাওয়ায় বিশ্বজুড়ে শ্রদ্ধাভাজন তিনি।

তাঁর স্মরণে যুক্তরাষ্ট্র তো বটেই এর বাইরেও রয়েছে স্মৃতিফলক। সুইজারল্যান্ড, স্পেইন, ফ্রান্স, ইসরাইল, পর্তুগালসহ বিভিন্ন দেশে সড়ক রয়েছে হেলেন কেলারের নামে। আলাবামার টুস্কাম্বিয়ায় হেলেনদের বাড়িটি এখন জাদুঘর।

১৯৮০ সালে তাঁর শততম জন্মবার্ষিকীতে ‘২৭ জুন’কে হেলেন কেলার ডে হিসেবে ঘোষণা করেন সে সময়ের মার্কিন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার।   

হেলেন কেলারের স্মৃতিচিহ্ন নিয়ে নিউইয়র্কে একটি আর্কাইভ গড়ে তোলা হয়েছিলো। তবে সন্ত্রাসবাদের কালো থাবা থেকে রেহাই পায়নি তা। ২০০১-র ১১ সেপ্টেম্বর টুইন টাওয়ারে আল-কায়দার হামলায় ধ্বংস হয়ে যায় আর্কাইভটি।মাটিতে মিশে যায় শতবর্ষ আগে জন্ম নেওয়া এক বিস্ময় মানবীর স্মৃতিচিহ্ন। তবে আজও সারাবিশ্বে শারীরিক প্রতিবন্ধকতা নিয়ে বিশ্বজয়ের অনুপ্রেরণা হয়ে রয়েছেন ‘হেলেন কেলার’।