চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

‘এতটা আসলে কল্পনাও করিনি’

জাতীয় দলের অধিকাংশ ক্রিকেটারই উঠে এসেছেন খুলনা থেকে। যে কারণে সেখানকার বিভাগীয় দলে সুযোগ পাওয়া জাতীয় দলের মতোই কঠিন ব্যাপার! ভাগ্যক্রমে ইমরান উজ জামানের বেলায় সেটি হয়ে গেল সহজ। বিজয়, মিঠুন ও সোহান ‘এ’ দলের হয়ে শ্রীলঙ্কা সফরে থাকায় উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যানের সংকট ছিল দলটিতে। জাতীয় লিগে বিকল্প হিসেবে তাই নবীন এ ক্রিকেটারের মাথায় উঠল সাদা ক্যাপ।

প্রথম শ্রেণির ম্যাচে অভিষেকে ৭১ রানের ইনিংস খেলে ব্যাটসম্যান সত্ত্বার জানান দিয়েছেন ইমরান। ঘরের মাঠে সাদা পোশাকে প্রথমবার নেমেই জাগান সেঞ্চুরির আশা। রংপুর বিভাগের স্পিনার তানবীর হায়দারের বলে আউট হওয়ার আগে ১২৭ বলে ১১টি চারে সাজান ইনিংসটি। ৭৪ বলে ফিফটি ছোঁয়ার পরে ব্যাট চালান ধীরগতিতে। ম্যাচের তৃতীয় দিনে আরেক ওপেনার রবিউল ইসলাম রবির সঙ্গে গড়েন ১৩৬ রানের জুটি।

ফিট থাকতে সবার আগে চিনি বাদ দিন, প্রাকৃতিক ও নিরাপদ জিরোক্যাল-এর মিষ্টি স্বাদ নিন।

গত বছর ঢাকা প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগে তিনটি সেঞ্চুরি ও পাঁচটি ফিফটিতে ৮৯৬ রান করে সম্ভাবনার জানান দেন যশোরের ২৪ বছর বয়সী ইমরান। বিসিবির নতুন নিয়মে সুযোগ পেয়ে যান এ বছর প্রিমিয়ার লিগে খেলার। রাতারাতি অভিষেকও হয়ে গেল তার জাতীয় লিগে।

এক বছরের ব্যবধানে তিনটি লিগ খেলার সুযোগ স্বপ্নের মতোই মনে হচ্ছে ইমরানের। বললেন, ‘গত বছর এ সময়ে আমি প্রথম বিভাগে খেলেছি। এখন তো প্রথম শ্রেণিতে ডেব্যু হয়ে গেল। এতটা আসলে কল্পনাও করিনি। ওভাবে ভাবিনি এক বছরের ভেতর এতদূর আসতে পারব। তবে ভেবেছি, যে পর্যায়েই খেলি সেরা পারফরম্যান্স করার। যাতে পরের ধাপে যেতে পারি। এক বছরে দুইটা লিগ খেলোর সুযোগ পেয়েছি। এটা সচরাচর হয় না। ক্রিকেট বোর্ডকে ধন্যবাদ, তারা নতুন নিয়মটা করেছে প্রথম বিভাগে ভালো করলে ওই মৌসুমে প্রিমিয়ারও খেলা যাবে।’

খুলনার তিন উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান এনামুল হক বিজয়, মোহাম্মদ মিঠুন, নুরুল হাসান সোহান দেশে ফিরলে নিঃসন্দেহে কঠিন হয়ে যাবে ইমরানের একাদশে সুযোগ পাওয়া। প্রথম ইনিংসে ভালো করলেও এ ওপেনার মনে করেন মিঠুন-নুরুলদের সমমানের ক্রিকেটার হতে সময় লাগবে আরও।

‘তারা আমাদের বিভাগের নিয়মিত পারফর্মার, জাতীয় দলের খেলোয়াড়। টিকে থাকতে হলে একস্ট্রা অর্ডিনারি কিছু না করলে হবে না। তাদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা এ মুহূর্তে সম্ভব না। আমার থেকে অনেক উপরে তারা। আমি যেন তাদের লেভেলে যেতে পারি সে চেষ্টা করছিলাম। চেয়েছিলাম তারা না থাকলে কোনো জায়গা তৈরি হলে যেন বিবেচনায় আসি। কিপার খুঁজলে যেন আমাকে নিয়ে ভাবে সে চেষ্টা করেছি। খুলনার যে টিম, সেটা জাতীয় দলের ক্যাটাগরির। এখানে ৬০-৭০ করাটা নিরাপদ নয়, ১৫০-২০০ করতে হবে। একটা দিনের পারফরম্যান্সে সব বদলে যায় না। একটা ইনিংসে তাদের সারাবছরের পারফরম্যান্স আড়াল হবে না।’